সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
সরকারি নথি ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে খবর বলছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় ১৪ মাসে ১৩ বার বিদেশ সফর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়াও সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টারাও নিয়মিত বিদেশ সফর করছেন। এর মধ্যেকোনো কোনো উপদেষ্টাকে ‘গুরুত্বহীন’ নানা অনুষ্ঠানেও তাদের অংশ নিতে দেখা গেছে বলেও সমালোচনা রয়েছে।জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করে মাত্রই দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, যেই সফরে তার সঙ্গী হয়েছিলেন সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা, সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের কয়েকজন প্রতিনিধিও।সরকারি একটি নথিতে দেখা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই সফরে অন্তত একশোজন তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন।যদিও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গেলো সপ্তাহে একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ছিলেন ৬২ জন।বিশাল বহর নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনাও দেখা দেয়।পরে গত মাসের শেষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি জনগণের করের টাকায় বিদেশ সফরে এত বড় প্রতিনিধি দল পাঠানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবৃতিও দেয়।টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “আমরা ভেবেছিলাম গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিনিধি দলের সংখ্যা আরো কমবে। কিন্তু সেটা আরো বেড়েছে”।গত বছরের ডিসেম্বরে উপদেষ্টা কিংবা সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ যাত্রা নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হলেও তার কিছুই মানা হচ্ছে না বলেও দাবি করছেন বিশ্লেষকরা।সরকারের অর্থ ব্যয় করে উপদেষ্টা কিংবা কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর এবং এতে বাংলাদেশের অর্জন কতখানি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশাল বহর নিয়ে বিদেশ সফর কিংবা উপদেষ্টা ও আমলাদের বিদেশ সফর নিয়ে নানা সমালোচনাও হয়েছিল।কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন সরকার কেন একই পথে হাঁটছে সেই প্রশ্নও তুলছেন বিশ্লেষক ও সাবেক আমলাদের কেউ কেউ।