সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
গত বছরের অগাস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত ১৩ দফা বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়।সেখানে বিদেশ সফরে নিরুৎসাহিত করাসহ একই অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ও সচিবের বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু সে সব নির্দেশনা কতটুকুই বা মানা হচ্ছে?প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সইয়ে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।ওই ১৩ দফা নির্দেশনায় সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা, বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটি তালিকা জানিয়ে রাখা, বিদেশ ভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ডেটাবেজ তৈরি করা (প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এর কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে), সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের একাধারে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করা, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করতে হবে।এছাড়াও জাতীয় স্বার্থে অনুরূপ ভ্রমণ একান্ত অপরিহার্য হলে তেমন অপরিহার্যতার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা, মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীন অধিদপ্তর বা সংস্থা প্রধানেরা একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবে না বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছিল।অন্যদিকে, বিদেশে অনুষ্ঠেয় সেমিনার বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের জন্য উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ থেকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং অপরাপর অংশগ্রহণকারী দেশ থেকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাতে অংশ নিচ্ছেন, সেই তথ্যও যুক্ত করতে বলা হয়েছিল সরকারের নির্দেশনায়।কিন্তু এ নির্দেশনা কতখানি মানা হচ্ছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক আমলা ও বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।সাবেক সচিব আব্দুল আউয়াল মজুমদার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিদেশ যাত্রা নিয়ে সরকারের নিজের নির্দেশনা সেটি প্রতিপালিত হচ্ছে না কারণ হচ্ছে সরকার নিজেই ব্যর্থ। সরকার নিজেরা নির্দেশনা দিয়ে নিজেরাই সেটি ভঙ্গ করছে।””প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সার্কুলার হয়, সেই নিয়ম তারাই ভাঙেন। তাহলে এরকম সার্কুলার হওয়ার দরকার নাই। সার্কুলার জারি হলে সেই নীতি ভাঙলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হয়। বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়,” যোগ করেন মি. মজুমদার।