অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের ২ কিলোমিটারের মধ্যে গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখার অনুমতি ছাড়া ড্রোন ওড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার মহানগর পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুর মহানগর পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ইজতেমা মাঠে বিশ্ব ইজতেমা-২০২৫ চলমান আছে। ইজতেমায় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির সমাগম হয়। মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ইজতেমা মাঠসহ আশপাশের দুই কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশের বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) অনুমতি ব্যতীত আজ রোববার থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের ড্রোন ও ড্রোন ক্যামেরা বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ওড়ানো বা ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ছাড়া সরকারি সংস্থাকেও ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ড্রোনের সংখ্যা বা ড্রোন ওড়ানোর সময় সিটিএসবিকে অবগত করতে বলা হয়েছে।

ইজতেমা মাঠে মোনাজাত চলাকালীন হঠাৎ মুসল্লিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মোনাজাত ফেলে ছুটছেন মুসল্লিরা। আজ রোববার সকালে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের ইজতেমা। এর মাঝে মোনাজাত চলাকালীন হঠাৎ মুসল্লিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে আহত হন ৪১ মুসল্লি। কেউ বলছেন, মোনাজাতের সময় ইজতেমা মাঠের ৪ নম্বর ফটকে একটি ড্রোন ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুসল্লিদের মাঝে। আবার কারও দাবি, টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় ছবি ধারণের সময় ড্রোনের আঘাতে সড়কে থাকা কয়েকটি গ্যাস বেলুন ফেটে বিকট শব্দ হয়, এতে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন মুসল্লিরা। এরপর এ ঘটনার সূত্র ধরে আজ রোববার সন্ধ্যায় এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে মহানগর পুলিশ।

তথ্যসূত্র : সংগৃহীত