, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নোটিশ :

মৃত্যুর সাড়ে ১৩ বছর পর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আজম খান

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ১৪১৩ Time View


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলা রক গানের কিংবদন্তি শিল্পী আজম খান। মৃত্যুর সাড়ে ১৩ বছর পর এই পুরস্কার পাচ্ছেন এই রক তারকা।

আজ বৃহস্পতিবার সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, এ বছর আজম খানসহ আটজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে।

বাংলা রক সংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন আজম খান; অনুরাগীদের কাছে তিনি পপগুরু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০১১ সালের ৫ জুন মারা যান এই রক তারকা।
আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একাত্তরে অস্ত্র হাতে গেরিলাযুদ্ধ করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর আজম খান বন্ধুদের নিয়ে সংগীতের দল গড়েন, নাম দেন ‘উচ্চারণ’।

১৯৭২ সালে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের যাত্রা শুরু হয়। সে বছরই বিটিভিতে প্রচারিত ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’ ইত্যাদি গানে তিনি শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।

‘এক যুগ’ নামে তাঁর প্রথম অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। সব মিলিয়ে তাঁর গানের অ্যালবাম ১৭টি। গানের ভুবনের বাইরে খেলাধুলার প্রতিও ছিল তাঁর দারুণ ভালোবাসা। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালে তিনি গোপীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলতেন।

অভিনয়ও করেছিলেন ২০০৩ সালে, ‘গডফাদার’ নামের একটি বাংলা চলচ্চিত্রে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন এবং সাঁতারের প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৯ সালে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন আজম খান।

৬/৩/২০২৫/ সুরমা টিভি ২৪ / শামীমা

যুবদল সভাপতি:এনসিপির সমাবেশের অর্ধেক লোক ছিল ভাড়া করা।

মৃত্যুর সাড়ে ১৩ বছর পর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আজম খান

Update Time : ০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলা রক গানের কিংবদন্তি শিল্পী আজম খান। মৃত্যুর সাড়ে ১৩ বছর পর এই পুরস্কার পাচ্ছেন এই রক তারকা।

আজ বৃহস্পতিবার সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, এ বছর আজম খানসহ আটজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে।

বাংলা রক সংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন আজম খান; অনুরাগীদের কাছে তিনি পপগুরু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০১১ সালের ৫ জুন মারা যান এই রক তারকা।
আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একাত্তরে অস্ত্র হাতে গেরিলাযুদ্ধ করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর আজম খান বন্ধুদের নিয়ে সংগীতের দল গড়েন, নাম দেন ‘উচ্চারণ’।

১৯৭২ সালে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের যাত্রা শুরু হয়। সে বছরই বিটিভিতে প্রচারিত ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’ ইত্যাদি গানে তিনি শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।

‘এক যুগ’ নামে তাঁর প্রথম অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। সব মিলিয়ে তাঁর গানের অ্যালবাম ১৭টি। গানের ভুবনের বাইরে খেলাধুলার প্রতিও ছিল তাঁর দারুণ ভালোবাসা। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালে তিনি গোপীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলতেন।

অভিনয়ও করেছিলেন ২০০৩ সালে, ‘গডফাদার’ নামের একটি বাংলা চলচ্চিত্রে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন এবং সাঁতারের প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৯ সালে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন আজম খান।

৬/৩/২০২৫/ সুরমা টিভি ২৪ / শামীমা