, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পের পর সহায়তা চাইলো জান্তা সরকার

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • ১৪২৬ Time View

মিয়ানমারে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এর আঘাত এসে লাগে প্রতিবেশি থাইল্যান্ডেও। এরই মধ্যে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। এদিকে, ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। এরইমধ্যে আহ্বানে সাড়া দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
মিয়ানমারের দুটি বৃহত্তম শহর, মান্দালয় এবং ইয়াঙ্গুনে এখনও বিদ্যুৎ ও যোগাযোগের লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলেও জানানো হয়।

মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং আশংকা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

মিন অং বলেন, ‘আমি যেকোনো দেশ, যেকোনো সংস্থা, অথবা মিয়ানমারের যেকোনো ব্যক্তিকে সাহায্যের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই।’

তিনি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেন, তিনি ‘বিদেশী সাহায্যের জন্য সকল পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।’

যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং আসিয়ান সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চীনও এই তালিকায় আছে।
ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপের ভেতরে থেকে জীবিতদের সন্ধান করছেন মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের উদ্ধারকারী দলগুলো। এ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মিয়ানমারের মানুষদের। তারা ঘরে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ভবন ধস ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি থ্যাইল্যান্ডেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত সিসিটিভি জানিয়েছে, এরইমধ্যে চলমান প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য ৩৭ সদস্যের একটি শক্তিশালী চীনা দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া দল মিয়ানমারে পৌঁছেছে।

ইউনানের দলটির কাছে ১১২ সেট জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম আছে। তারা ভূমিকম্পের পূর্বাভাস ব্যবস্থা, ড্রোন এবং পোর্টেবল স্যাটেলাইটও বহন করছেন।

শুক্রবার স্থানীয় সময় ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের প্রভাব এসে লাগে বাংলাদেশ, চীন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও।

Popular Post

ভূমিকম্পের পর সহায়তা চাইলো জান্তা সরকার

Update Time : ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

মিয়ানমারে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এর আঘাত এসে লাগে প্রতিবেশি থাইল্যান্ডেও। এরই মধ্যে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। এদিকে, ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। এরইমধ্যে আহ্বানে সাড়া দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
মিয়ানমারের দুটি বৃহত্তম শহর, মান্দালয় এবং ইয়াঙ্গুনে এখনও বিদ্যুৎ ও যোগাযোগের লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলেও জানানো হয়।

মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং আশংকা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

মিন অং বলেন, ‘আমি যেকোনো দেশ, যেকোনো সংস্থা, অথবা মিয়ানমারের যেকোনো ব্যক্তিকে সাহায্যের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই।’

তিনি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেন, তিনি ‘বিদেশী সাহায্যের জন্য সকল পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।’

যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং আসিয়ান সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চীনও এই তালিকায় আছে।
ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপের ভেতরে থেকে জীবিতদের সন্ধান করছেন মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের উদ্ধারকারী দলগুলো। এ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মিয়ানমারের মানুষদের। তারা ঘরে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ভবন ধস ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি থ্যাইল্যান্ডেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত সিসিটিভি জানিয়েছে, এরইমধ্যে চলমান প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য ৩৭ সদস্যের একটি শক্তিশালী চীনা দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া দল মিয়ানমারে পৌঁছেছে।

ইউনানের দলটির কাছে ১১২ সেট জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম আছে। তারা ভূমিকম্পের পূর্বাভাস ব্যবস্থা, ড্রোন এবং পোর্টেবল স্যাটেলাইটও বহন করছেন।

শুক্রবার স্থানীয় সময় ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের প্রভাব এসে লাগে বাংলাদেশ, চীন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও।