, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মোনালিসা’র চোখ ফাঁকি দিয়ে অভিনব চুরি, বিশ্বজুড়ে তোলপাড় গোলাপগঞ্জে বিএমএসএফ এর কমিটি গঠন, সভাপতি বদরুল আলম, সম্পাদক শাহ আলম এবার শান্তি রক্ষা মিশন নিয়ে বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল জাতিসংঘ। শহীদুল আলমদের বহনকারী জাহাজ আ’টকের তথ্য জানাল ফ্রিডম ফ্লোটিলা সাংবাদিক ইলিয়াস : এনসিপি বলে এদেশে কিছু থাকবে না নিজেদের নির্দেশনা মানছে সরকার? উপদেষ্টাদের ঘনঘন বিদেশ সফর ও প্রধান উপদেষ্টার বহর নিয়ে যত সমালোচনা। মৃত্যুর দুইদিন পার, দাফন নিয়ে সরকার-পরিবারের দ্বন্দ্বে হাসপাতালেই তোফায়েল আহমেদের মরদেহ। খুলনায় ঘুমন্ত যুবককে গু’লি করে হ’ত্যা। ৫ আগস্ট হাসিনার কয়েক হাজার কল রেকর্ড মুছে ফেলে এনটিএমসি।
নোটিশ :
মোনালিসা’র চোখ ফাঁকি দিয়ে অভিনব চুরি, বিশ্বজুড়ে তোলপাড় গোলাপগঞ্জে বিএমএসএফ এর কমিটি গঠন, সভাপতি বদরুল আলম, সম্পাদক শাহ আলম এবার শান্তি রক্ষা মিশন নিয়ে বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল জাতিসংঘ। শহীদুল আলমদের বহনকারী জাহাজ আ’টকের তথ্য জানাল ফ্রিডম ফ্লোটিলা সাংবাদিক ইলিয়াস : এনসিপি বলে এদেশে কিছু থাকবে না নিজেদের নির্দেশনা মানছে সরকার? উপদেষ্টাদের ঘনঘন বিদেশ সফর ও প্রধান উপদেষ্টার বহর নিয়ে যত সমালোচনা। মৃত্যুর দুইদিন পার, দাফন নিয়ে সরকার-পরিবারের দ্বন্দ্বে হাসপাতালেই তোফায়েল আহমেদের মরদেহ। খুলনায় ঘুমন্ত যুবককে গু’লি করে হ’ত্যা। ৫ আগস্ট হাসিনার কয়েক হাজার কল রেকর্ড মুছে ফেলে এনটিএমসি।

চিলিতে ২ ঘণ্টায় ১৬০ ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি সতর্কতা জারি

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৪৪৮ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
চিলির মধ্যাঞ্চলীয় লাগুনা দেল মাউলে আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে দুই ঘণ্টায় ১৬০টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। এই ভূমিকম্পের পর শুক্রবার আগ্নেয়গিরি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রাজধানী সান্টিয়াগো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে আর্জেন্টিনার সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরি অঞ্চলটি প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এখানে অসংখ্য আগ্নেয়গিরির গম্বুজ, শঙ্কু ও লাভা প্রবাহ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই এলাকায় প্রায় ১৩০টি আগ্নেয়গিরির মুখ রয়েছে।

চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ ও অধ্যাপক আয়াজ আলম বলেন, এসব লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয়। এর ভেতরে ম্যাগমা রয়েছে, যা নড়াচড়া করছে। ভবিষ্যতে এখানে মাঝারি মাত্রার কোনও ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু সেটা কখন হবে, তা আমরা জানি না।

চিলির জাতীয় ভূতত্ত্ব ও খনিজ পরিষেবা (সেরনাগেওমিন) জানিয়েছে, ভূমিকম্পগুলো ছিল কম মাত্রার। তাই আগ্নেয়গিরি অঞ্চলটিকে এখনও সবুজ সতর্কতায় রাখা হয়েছে, যা নির্দেশ করে সেখানে কোনও তাৎক্ষণিক ঝুঁকি নেই। তবে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা সেনাপ্রেড বলেছে, তারা আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে যেকোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আয়াজ আলম ব্যাখ্যা করে বলেন, আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে ভূমিকম্পের ঝাঁক সাধারণত কম তীব্রতার হয় এবং ভূতাত্ত্বিক চ্যুতিরেখার ভূমিকম্প থেকে এগুলো আলাদা। কারণ, এখানে ভূত্বকের প্লেটগুলোর সংঘর্ষের বদলে ম্যাগমার প্রবাহই এই সিসমিক কার্যকলাপের জন্য দায়ী।

এই ভূমিকম্পের ঝাঁকের সময় সবচেয়ে বড় যে কম্পন রেকর্ড করা হয়েছে, তার মাত্রা ছিল ২.১। তবে গত কয়েক বছরে এই অপেক্ষাকৃত নতুন আগ্নেয়গিরি মাঠে বেশ কয়েকবার সক্রিয়তার লক্ষণ দেখা গেছে।

চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূপদার্থবিদ ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল ডিয়াজ বলেন, এই অঞ্চলটি বেশ অনন্য। কারণ, এখানে কোনও একটি আগ্নেয়গিরি কাঠামো নেই, বরং হ্রদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি, যার মধ্যে কিছু গত ২ হাজার বছরের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে।

ডিয়াজ বলেন, এই আগ্নেয়গিরি ব্যবস্থাটি বেশ নতুন, তাই এখানে সক্রিয়তা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটি কোনও একটি কাঠামো বা শঙ্কুতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো লাগুনা দেল মাউল অঞ্চলজুড়েই এর বিস্তার।

চিলি প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। ২০১১ সালে দেশটির পুয়েভে-কর্দন কাউই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাগুনা দেল মাউলের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের আশেপাশের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

১১/৪/২০২৫/সুরমা টিভি/শামীমা

মোনালিসা’র চোখ ফাঁকি দিয়ে অভিনব চুরি, বিশ্বজুড়ে তোলপাড়

চিলিতে ২ ঘণ্টায় ১৬০ ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি সতর্কতা জারি

Update Time : ০১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
চিলির মধ্যাঞ্চলীয় লাগুনা দেল মাউলে আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে দুই ঘণ্টায় ১৬০টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। এই ভূমিকম্পের পর শুক্রবার আগ্নেয়গিরি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রাজধানী সান্টিয়াগো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে আর্জেন্টিনার সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরি অঞ্চলটি প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এখানে অসংখ্য আগ্নেয়গিরির গম্বুজ, শঙ্কু ও লাভা প্রবাহ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই এলাকায় প্রায় ১৩০টি আগ্নেয়গিরির মুখ রয়েছে।

চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ ও অধ্যাপক আয়াজ আলম বলেন, এসব লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয়। এর ভেতরে ম্যাগমা রয়েছে, যা নড়াচড়া করছে। ভবিষ্যতে এখানে মাঝারি মাত্রার কোনও ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু সেটা কখন হবে, তা আমরা জানি না।

চিলির জাতীয় ভূতত্ত্ব ও খনিজ পরিষেবা (সেরনাগেওমিন) জানিয়েছে, ভূমিকম্পগুলো ছিল কম মাত্রার। তাই আগ্নেয়গিরি অঞ্চলটিকে এখনও সবুজ সতর্কতায় রাখা হয়েছে, যা নির্দেশ করে সেখানে কোনও তাৎক্ষণিক ঝুঁকি নেই। তবে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা সেনাপ্রেড বলেছে, তারা আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে যেকোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আয়াজ আলম ব্যাখ্যা করে বলেন, আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে ভূমিকম্পের ঝাঁক সাধারণত কম তীব্রতার হয় এবং ভূতাত্ত্বিক চ্যুতিরেখার ভূমিকম্প থেকে এগুলো আলাদা। কারণ, এখানে ভূত্বকের প্লেটগুলোর সংঘর্ষের বদলে ম্যাগমার প্রবাহই এই সিসমিক কার্যকলাপের জন্য দায়ী।

এই ভূমিকম্পের ঝাঁকের সময় সবচেয়ে বড় যে কম্পন রেকর্ড করা হয়েছে, তার মাত্রা ছিল ২.১। তবে গত কয়েক বছরে এই অপেক্ষাকৃত নতুন আগ্নেয়গিরি মাঠে বেশ কয়েকবার সক্রিয়তার লক্ষণ দেখা গেছে।

চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূপদার্থবিদ ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল ডিয়াজ বলেন, এই অঞ্চলটি বেশ অনন্য। কারণ, এখানে কোনও একটি আগ্নেয়গিরি কাঠামো নেই, বরং হ্রদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি, যার মধ্যে কিছু গত ২ হাজার বছরের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে।

ডিয়াজ বলেন, এই আগ্নেয়গিরি ব্যবস্থাটি বেশ নতুন, তাই এখানে সক্রিয়তা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটি কোনও একটি কাঠামো বা শঙ্কুতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো লাগুনা দেল মাউল অঞ্চলজুড়েই এর বিস্তার।

চিলি প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। ২০১১ সালে দেশটির পুয়েভে-কর্দন কাউই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাগুনা দেল মাউলের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের আশেপাশের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

১১/৪/২০২৫/সুরমা টিভি/শামীমা