, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নোটিশ :

তাজমহলের মালিকানা দাবি হায়দ্রাবাদের এক ব্যক্তির

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩৮৫ Time View

মোগল সম্রাটদের মতো পোশাক পরেন তিনি। নিজেকে মোঘলদের একজন বলে দাবি করেন। ভারতের হায়দরাবাদের এই ব্যক্তির নাম প্রিন্স ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন টুসি। সাধারণ কোনো মানুষ নন তিনি। নিজেকে একজন মোগল বংশের উত্তরসূরি বলে দাবি করেন। এমনকি মোগল প্রিন্স বলেই নিজেকে পরিচয় দেন ইয়াকুব।
ইয়াকুব মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের ষষ্ঠ প্রজন্ম বলে দাবি করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ভারতীয় ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন তাজমহলের প্রকৃত মালিক তিনি।

নিজের দাবির পক্ষে প্রিন্স ইয়াকুব হায়দরাবাদের আদালতে নিজের ডিএনএ প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন। স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মৃতি ধরে রাখতে মোঘল সম্রাট শাহজাহানের তৈরি এই স্মৃতিসৌধ–সংক্রান্ত যেকোনো সরকারি নথি দেখাতে ২০১৯ সালে প্রিন্স ইয়াকুব জয়পুরের রাজপরিবারের প্রিন্সেস দিয়া কুমারীকেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
শুধু তাজমহলই নয়, একসময় অযোধ্যায় অবস্থিত বাবরি মসজিদের জমির মালিকানা নিয়েও ওয়াক্‌ফ বোর্ডের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন প্রিন্স ইয়াকুব। তিনি বলেছিলেন, যদি ওই জমির মালিকানা বাবরের হয়, তাহলে একজন মোগল বংশধরের উত্তরাধিকার হিসেবে ওই জমি তারই পাওয়া উচিত।

তবে প্রিন্স ইয়াকুব পরে সেখানে রামমন্দির নির্মাণকে সমর্থন করেছিলেন। এমনকি মন্দিরের জন্য ১ কোটি ৮০ লাখ রুপি মূল্যের সোনার ইটও উপহার দিয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তখন প্রিন্স ইয়াকুব বলেছিলেন, ‘আমি যেহেতু ওই সম্পত্তির মালিক, তাই সেখানে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’

প্রিন্স ইয়াকুব বর্তমানে মহারাষ্ট্র রাজ্যে অবস্থিত সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধির মুতাওয়াল্লি ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সপ্তদশ শতাব্দীর মোগল সম্রাটের এই সমাধি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর ধ্বংসের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ভারতের নৃতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) সংরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে এটিকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

যুবদল সভাপতি:এনসিপির সমাবেশের অর্ধেক লোক ছিল ভাড়া করা।

তাজমহলের মালিকানা দাবি হায়দ্রাবাদের এক ব্যক্তির

Update Time : ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

মোগল সম্রাটদের মতো পোশাক পরেন তিনি। নিজেকে মোঘলদের একজন বলে দাবি করেন। ভারতের হায়দরাবাদের এই ব্যক্তির নাম প্রিন্স ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন টুসি। সাধারণ কোনো মানুষ নন তিনি। নিজেকে একজন মোগল বংশের উত্তরসূরি বলে দাবি করেন। এমনকি মোগল প্রিন্স বলেই নিজেকে পরিচয় দেন ইয়াকুব।
ইয়াকুব মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের ষষ্ঠ প্রজন্ম বলে দাবি করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ভারতীয় ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন তাজমহলের প্রকৃত মালিক তিনি।

নিজের দাবির পক্ষে প্রিন্স ইয়াকুব হায়দরাবাদের আদালতে নিজের ডিএনএ প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন। স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মৃতি ধরে রাখতে মোঘল সম্রাট শাহজাহানের তৈরি এই স্মৃতিসৌধ–সংক্রান্ত যেকোনো সরকারি নথি দেখাতে ২০১৯ সালে প্রিন্স ইয়াকুব জয়পুরের রাজপরিবারের প্রিন্সেস দিয়া কুমারীকেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
শুধু তাজমহলই নয়, একসময় অযোধ্যায় অবস্থিত বাবরি মসজিদের জমির মালিকানা নিয়েও ওয়াক্‌ফ বোর্ডের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন প্রিন্স ইয়াকুব। তিনি বলেছিলেন, যদি ওই জমির মালিকানা বাবরের হয়, তাহলে একজন মোগল বংশধরের উত্তরাধিকার হিসেবে ওই জমি তারই পাওয়া উচিত।

তবে প্রিন্স ইয়াকুব পরে সেখানে রামমন্দির নির্মাণকে সমর্থন করেছিলেন। এমনকি মন্দিরের জন্য ১ কোটি ৮০ লাখ রুপি মূল্যের সোনার ইটও উপহার দিয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তখন প্রিন্স ইয়াকুব বলেছিলেন, ‘আমি যেহেতু ওই সম্পত্তির মালিক, তাই সেখানে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’

প্রিন্স ইয়াকুব বর্তমানে মহারাষ্ট্র রাজ্যে অবস্থিত সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধির মুতাওয়াল্লি ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সপ্তদশ শতাব্দীর মোগল সম্রাটের এই সমাধি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর ধ্বংসের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ভারতের নৃতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) সংরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে এটিকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।