, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধে বাংলাদেশের লাভ কী?

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩৯৩ Time View

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পর দেশটি থেকে সুতাবাহী কোনো ট্রাক ঢুকছে না বেনাপোল বন্দরে। বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্তকে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা হিসেবে দেখলেও, নিট শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) দাবি, এর মাধ্যমে ক্ষতির মুখে পড়বে তৈরি পোশাক শিল্প।

প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়। এরমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাcj থাকে গার্মেন্টস শিল্পের দরকারি সুতা। তবে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে সরকার।

আমদানিকারকরা বলছেন, সুতা আমদানি না হওয়ার কারণে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি অনেক কমে গেছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামিম হোসেন বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে এই মুহূর্তে ভারত থেকে সুতা আসছে না। তবে অন্যান্য পণ্য আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

ভারতীয় সরকারের সহায়তায় দেশটির উৎপাদকরা তুলনামূলক কম দামে সুতা রপ্তানি করে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বাজার নষ্ট করছে- এমন দাবি করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) বলছে, দিন শেষে সরকারের টনক নড়ায় যেমন সুরক্ষা পাবে স্থানীয় শিল্প, তেমনি বাড়বে উৎপাদন সক্ষমতা।

বিটিএমএর সহ সভাপতি সালেউদ জামান খান বলেন, নৌপথ দিয়ে ভারত থেকে ৭০ শতাংশ সুতা দেশে আসে। বাকি ২৫-৩০ শতাংশ সুতা আমদানি হয় সড়কপথে। তবে সড়কপথে সুতা আনায় দাম ও সময় অনেকাংশে বেড়ে যায়, তাই এটির যৌক্তিকতা নেই।

তবে বিটিএমএর এমন দাবির সঙ্গে একমত নয় নিট শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ। সংগঠনটির দাবি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা ক্ষতির মুখে পড়বে।

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কম দামে সুতা পাওয়ায় ভারত থেকে আমদানি করা হয়। স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ হওয়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ থাকলেও সমুদ্রপথ ও আকাশ পথে আমদানি চালু রয়েছে।

তবে গত ১৩ এপ্রিলের আগে ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের বিপরীতে স্থলবন্দর দিয়েই ওই সুতার চালান আনতে পারবেন আমদানিকারকরা।

এবার ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধে বাংলাদেশের লাভ কী?

Update Time : ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পর দেশটি থেকে সুতাবাহী কোনো ট্রাক ঢুকছে না বেনাপোল বন্দরে। বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্তকে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা হিসেবে দেখলেও, নিট শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) দাবি, এর মাধ্যমে ক্ষতির মুখে পড়বে তৈরি পোশাক শিল্প।

প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়। এরমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাcj থাকে গার্মেন্টস শিল্পের দরকারি সুতা। তবে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে সরকার।

আমদানিকারকরা বলছেন, সুতা আমদানি না হওয়ার কারণে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি অনেক কমে গেছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামিম হোসেন বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে এই মুহূর্তে ভারত থেকে সুতা আসছে না। তবে অন্যান্য পণ্য আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

ভারতীয় সরকারের সহায়তায় দেশটির উৎপাদকরা তুলনামূলক কম দামে সুতা রপ্তানি করে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বাজার নষ্ট করছে- এমন দাবি করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) বলছে, দিন শেষে সরকারের টনক নড়ায় যেমন সুরক্ষা পাবে স্থানীয় শিল্প, তেমনি বাড়বে উৎপাদন সক্ষমতা।

বিটিএমএর সহ সভাপতি সালেউদ জামান খান বলেন, নৌপথ দিয়ে ভারত থেকে ৭০ শতাংশ সুতা দেশে আসে। বাকি ২৫-৩০ শতাংশ সুতা আমদানি হয় সড়কপথে। তবে সড়কপথে সুতা আনায় দাম ও সময় অনেকাংশে বেড়ে যায়, তাই এটির যৌক্তিকতা নেই।

তবে বিটিএমএর এমন দাবির সঙ্গে একমত নয় নিট শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ। সংগঠনটির দাবি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা ক্ষতির মুখে পড়বে।

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কম দামে সুতা পাওয়ায় ভারত থেকে আমদানি করা হয়। স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ হওয়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ থাকলেও সমুদ্রপথ ও আকাশ পথে আমদানি চালু রয়েছে।

তবে গত ১৩ এপ্রিলের আগে ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের বিপরীতে স্থলবন্দর দিয়েই ওই সুতার চালান আনতে পারবেন আমদানিকারকরা।