, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে পিছু হটলেন ট্রাম্প

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩৮০ Time View

চীনের সঙ্গে চলমান শুল্কযুদ্ধে পিছু হটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সবশেষ বিবৃতেতে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, চীন থেকে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর অতিরিক্ত যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা ‘উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে, তবে শূন্যে নামবে না’।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের আগের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চীনের ওপর শুল্ক নিয়ে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। এর আগে মার্কিন অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট বলেন, উচ্চ শুল্কারোপ টেকসই নয় এবং তিনি বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে শুল্কযুদ্ধের চলমান উত্তেজনা হ্রাস পাবে আশা করছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় নেয়ার পর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানির দিকে। দু’দেশের শুল্ক সংঘাতের আবহে তা আরও বৃদ্ধি পায়। চলতি বছরের শুরুর দিকেই চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপায় ওয়াশিংটন।
এরপরও থামেননি ট্রাম্প। আরও এক দফায় শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেন। গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সেই শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়। পরদিন শুক্রবার (১১ এপ্রিল) শুল্ক বৃদ্ধি করে পাল্টা জবাব দেয় বেইজিংও। দেশটির কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন, ৮৪ নয়, এবার থেকে মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হচ্ছে।

জবাবে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরও ১০০ শতাংশ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৫ এপ্রিল হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের ফলে চীনা পণ্য এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের মুখোমুখি হবে।’ জবাবে মার্কিন বোয়িং বিমানের ডেলিভারি আটকে দেয় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার।
এরপর গত মঙ্গলবার চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কমানোর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প। এদিন ওভাল অফিসে বসে দেয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, তিনি বেইজিংয়ের সঙ্গে আসন্ন আলোচনায় অনেক সদয় হবেন। একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে এটাও বলেন যে, শেষ পর্যন্ত চীনকে বাধ্য হয়েই কোনো না কোনো চুক্তিতে আসতে হবে, অন্যথায় তারা আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করতে পারবে না।

তার ভাষায়, ‘শেষ পর্যন্ত তাদের একটা চুক্তি করতেই হবে। না করলে তারা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে পারবে না। আমরা চাই তারা ব্যবসায় যুক্ত থাকুক, কিন্তু তাদের ও অন্য দেশগুলোকেও একটা চুক্তি করতে হবে। তারা যদি তা না করে, তাহলে আমরাই চুক্তির শর্ত ঠিক করব।’

চীনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে পিছু হটলেন ট্রাম্প

Update Time : ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

চীনের সঙ্গে চলমান শুল্কযুদ্ধে পিছু হটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সবশেষ বিবৃতেতে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, চীন থেকে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর অতিরিক্ত যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা ‘উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে, তবে শূন্যে নামবে না’।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের আগের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চীনের ওপর শুল্ক নিয়ে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। এর আগে মার্কিন অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট বলেন, উচ্চ শুল্কারোপ টেকসই নয় এবং তিনি বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে শুল্কযুদ্ধের চলমান উত্তেজনা হ্রাস পাবে আশা করছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় নেয়ার পর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানির দিকে। দু’দেশের শুল্ক সংঘাতের আবহে তা আরও বৃদ্ধি পায়। চলতি বছরের শুরুর দিকেই চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপায় ওয়াশিংটন।
এরপরও থামেননি ট্রাম্প। আরও এক দফায় শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেন। গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সেই শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়। পরদিন শুক্রবার (১১ এপ্রিল) শুল্ক বৃদ্ধি করে পাল্টা জবাব দেয় বেইজিংও। দেশটির কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন, ৮৪ নয়, এবার থেকে মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হচ্ছে।

জবাবে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরও ১০০ শতাংশ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৫ এপ্রিল হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের ফলে চীনা পণ্য এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের মুখোমুখি হবে।’ জবাবে মার্কিন বোয়িং বিমানের ডেলিভারি আটকে দেয় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার।
এরপর গত মঙ্গলবার চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কমানোর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প। এদিন ওভাল অফিসে বসে দেয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, তিনি বেইজিংয়ের সঙ্গে আসন্ন আলোচনায় অনেক সদয় হবেন। একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে এটাও বলেন যে, শেষ পর্যন্ত চীনকে বাধ্য হয়েই কোনো না কোনো চুক্তিতে আসতে হবে, অন্যথায় তারা আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করতে পারবে না।

তার ভাষায়, ‘শেষ পর্যন্ত তাদের একটা চুক্তি করতেই হবে। না করলে তারা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে পারবে না। আমরা চাই তারা ব্যবসায় যুক্ত থাকুক, কিন্তু তাদের ও অন্য দেশগুলোকেও একটা চুক্তি করতে হবে। তারা যদি তা না করে, তাহলে আমরাই চুক্তির শর্ত ঠিক করব।’