সুরমা টিভি ২৪ ডেস্কঃ
পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের বিভিন্ন বেসামরিক এলাকায় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার ৭ বছর বয়সী পুত্রসহ নিহতদের তালিকায় একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, তাঁর ছোট ভাই রয়েছেন। আজ বুধবার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে জিও টিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বিমান হামলায় নিহত সাত বছরের ইরতিজা আব্বাস তুরি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল জহির আব্বাস তুরির পুত্র। নিহত ইরতিজার ছবি এখন পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে চালানো ভারতীয় এই হামলার বিষয়ে আজ বুধবার দিনের শুরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিবৃতি দেন পাকিস্তান আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
তিনি জানান, ভারতীয় বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন বেসামরিক মানুষ নিহত এবং আরও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। মুজাফফরাবাদ, কোটলি, মুরিদকে ও আহমদপুর শরকিয়ার মতো এলাকাগুলো এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
আহমেদ শরিফ চৌধুরীর তথ্যমতে, কোটলির আব্বাস মসজিদের পাশে অবস্থিত একটি বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করলে নিহত হন ২২ বছর বয়সী মিসবাহ কাউসার ও তাঁর ছোট ভাই উমর মুসা। মিসবাহ কোটলি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
হামলায় পাকিস্তানের পূর্ব আহমদপুরের সুবহানুল্লাহ মসজিদে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন বছর বয়সী দুই কন্যাশিশু, ৭ জন নারী এবং ৪ জন পুরুষ রয়েছেন। সেখানে আহত হয়েছেন আরও ৩৭ জন। আহতদের মধ্যে ৯ জন নারী ও ২৮ জন পুরুষ।
মুজাফফরাবাদের বিলাল মসজিদে নিহত হয়েছেন ৩ জন। সেখানে ১ জন কন্যাশিশু ও ১ জন শিশুপুত্র আহত হয়েছে। মুরিদকের উম্মুল কুরা মসজিদে ৩ পুরুষ নিহত হয়েছেন। সেখানে আহত হয়েছেন ১ জন। এ ছাড়া হামলায় নীলম-ঝিলাম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নোসেরি বাঁধেরও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।