পাকিস্তানে সামরিক হামলায় শতাধিক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৃহস্পতিবার (৮ মে) নয়াদিল্লিতে ভারতের সর্বদলীয় বৈঠকে এই তথ্য জানান তিনি। একইসঙ্গে পাকিস্তান পাল্টা হামলা করলে আরও জোড়ালোভাবে ভারত প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে রাজনাথ সতর্ক করেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিন্দুর একটি ‘চলমান অভিযান উল্লেখ করে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আর কোনো হামলা চালাতে চায় না। তবে পাকিস্তান হামলা করলে ভারত আবারও পাল্টা আক্রমণ করবে।’
গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও তাদের অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জায়গায় হামলা চালায় ভারত। এই সামরিক অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সিন্দুর’। এই অভিযানের খুঁটিনাটি বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধিদের ব্যাখ্যা করা হয় আজকের বৈঠকে।
তবে বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে হওয়া সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণসহ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যেরা।
এনডিটিভি বলছে, এদিন সন্ত্রাসীদের টার্গেট করে হামলায় ভারত সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী দলের নেতারা। বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বৈঠকে এই সমর্থন জানানো হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এই তথ্য জানান ভারতের প্রধান বিরোধ দল ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কঠিন এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি নাগরিকের একজোট থাকা প্রয়োজন। সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বার্তা বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারত শতাধিক পাকিস্তানিকে হত্যা করার কথা বললেও পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হয়েছেন। এদিকে হামলার পর থেকে সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে এক ভারতীয় সেনা ও ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী।