, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার বৃদ্ধের শরীরেও এইচএমপিভি শনাক্ত হলো।

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৪৬১ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ‘রহস্যময়’ ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চীনসহ এর প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে এক বৃদ্ধের শরীরে শনাক্ত হয়েছে এই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই রোগীর চিকিৎসা আপাতত বেসরকারি একটি হাসপাতালে চলছে। আহমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে।

গুজরাটে প্রথম এইচএমপিভি’র হদিশ পাওয়া যায় জানুয়ারির ৬ তারিখ। দু’মাসের এক শিশুর দেহে মেলে এই ভাইরাস।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, চীনের হাসপাতালে কোভিডের সময়ের মতো ভিড় উপচে পড়ছে। জানা যায়, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই সেখানকার মানুষজন হাসপাতালে ছুটছেন। সেই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি সংক্রমণ ধরা পড়ছে ভারতেও। দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে এই সংক্রমণের দু’টি কেস শনাক্ত হয়।

সম্প্রতি কলকাতায়ও একটি কেস ধরা পড়ে। ইতোমধ্যেই, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্ণাটকে এইচএমপিভি’র কেস ধরা পড়ায় সতর্ক রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এইচ‌এম‌পিভি আক্রান্তের উপসর্গের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে চিকিৎসকদের। এদিকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারাও।

এর আগে জানা যায়, বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে দুই শিশুর শরীরে মিলেছে এইচএমপিভি। তাদের বিদেশ ভ্রমণেরও কোনো রেকর্ড নেই। উল্লেখ্য, সাধারণত শীত এবং বসন্তের মাসগুলোতে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, কোভিডের সঙ্গে এইচএমপিভি’র অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এটিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে দাবি করা হয়। বলা হচ্ছে, এই সংক্রমণে মূলত শিশু এবং বৃদ্ধরা অসুস্থ হচ্ছেন।
জ্বর, সর্দি-কাশি ছাড়া গলা ব্যথা থেকে শারীরিক দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে এইচএমপিভি’র সংক্রমণের জেরে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, এটি একটি ওপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, তবে এটি কখনও কখনও নিউমোনিয়া, হাঁপানির মতো নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) স্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে এই ভাইরাস। এতে সংক্রমণের কারণে অসুস্থতার তীব্রতা রোগীর ওপর নির্ভর করে। তবে স্বাভাবিকভাবে ইনকিউবেশন সময়কাল ৩ থেকে ৬ দিন হতে পারে।

১০/১/২০২৫/ সুরমা টিভি/ শামীমা

এবার বৃদ্ধের শরীরেও এইচএমপিভি শনাক্ত হলো।

Update Time : ০১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ‘রহস্যময়’ ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চীনসহ এর প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে এক বৃদ্ধের শরীরে শনাক্ত হয়েছে এই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই রোগীর চিকিৎসা আপাতত বেসরকারি একটি হাসপাতালে চলছে। আহমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে।

গুজরাটে প্রথম এইচএমপিভি’র হদিশ পাওয়া যায় জানুয়ারির ৬ তারিখ। দু’মাসের এক শিশুর দেহে মেলে এই ভাইরাস।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, চীনের হাসপাতালে কোভিডের সময়ের মতো ভিড় উপচে পড়ছে। জানা যায়, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই সেখানকার মানুষজন হাসপাতালে ছুটছেন। সেই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি সংক্রমণ ধরা পড়ছে ভারতেও। দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে এই সংক্রমণের দু’টি কেস শনাক্ত হয়।

সম্প্রতি কলকাতায়ও একটি কেস ধরা পড়ে। ইতোমধ্যেই, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্ণাটকে এইচএমপিভি’র কেস ধরা পড়ায় সতর্ক রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এইচ‌এম‌পিভি আক্রান্তের উপসর্গের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে চিকিৎসকদের। এদিকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারাও।

এর আগে জানা যায়, বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে দুই শিশুর শরীরে মিলেছে এইচএমপিভি। তাদের বিদেশ ভ্রমণেরও কোনো রেকর্ড নেই। উল্লেখ্য, সাধারণত শীত এবং বসন্তের মাসগুলোতে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, কোভিডের সঙ্গে এইচএমপিভি’র অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এটিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে দাবি করা হয়। বলা হচ্ছে, এই সংক্রমণে মূলত শিশু এবং বৃদ্ধরা অসুস্থ হচ্ছেন।
জ্বর, সর্দি-কাশি ছাড়া গলা ব্যথা থেকে শারীরিক দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে এইচএমপিভি’র সংক্রমণের জেরে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, এটি একটি ওপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, তবে এটি কখনও কখনও নিউমোনিয়া, হাঁপানির মতো নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) স্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে এই ভাইরাস। এতে সংক্রমণের কারণে অসুস্থতার তীব্রতা রোগীর ওপর নির্ভর করে। তবে স্বাভাবিকভাবে ইনকিউবেশন সময়কাল ৩ থেকে ৬ দিন হতে পারে।

১০/১/২০২৫/ সুরমা টিভি/ শামীমা