, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার নওগাঁয় বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, অতিষ্ঠ স্থানীয়রা।

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ৮ ঘন্টা আগে
  • ১৩৭৩ Time View

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

নওগাঁয় বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। কিশোররা চুরি, ছিনতাই ও মাদক সেবনসহ তুচ্ছ কারণে জড়াচ্ছে সংঘাতে। জেলার অন্তত ২০ স্পটে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। শিক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, কিশোর অপরাধের লাগাম টানতে জেলায় বিভিন্ন স্পটে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

গত কয়েক মাস ধরেই জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্পটে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। বিশেষ করে ছোট যমুনা নদীর ধার, ডিগ্রি কলেজ চত্বর, কেডির মোড় বাইপাস সড়ক, পার্ক রোডে বেড়েছে বখাটে কিশোরদের তৎপরতা। দলবদ্ধ কিশোরের হাতে ছিনতাইসহ ঘটছে নারী শিক্ষার্থী নিগৃহের ঘটনাও ।

ভুক্তভোগীরা জানান, শহরে চলার পথে মাঝে মধ্যেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে হচ্ছে। নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় মাদক কারবার নিয়ে একদল কিশোরের এ সংঘাতের এ ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

শিক্ষকরা বলছেন, গত কয়েক মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। স্কুল কলেজের নামে বাসা থেকে বের হলেও প্রতিষ্ঠানে হাজিরা না দিয়ে অনেক কিশোর ও তরুণ ভিন্ন কাজে ব্যয় করছেন সময়। এ ক্ষেত্রে সন্তানদের প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে।

নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সামসুল আলম বলেন, কলেজে অনেক শিক্ষার্থী এখন আসছে না। তারা বাইরে বেশি সময় ব্যয় করছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের সাথে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি কিন্তু খুব একটা ইতিবাচক সাড়া মিলছে না।

নওগাঁ কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রউফ বলেন, স্কুলের বাইরে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কাজে শিক্ষার্থীদের জড়িয়ে পড়ায় পড়ার প্রতি মনোযোগ কমে গেছে।

মানবাধিকার কর্মী নাইস পারভিন বলেন, আন্দোলনের পরবর্তী কিছু কিশোরদের ভেতর একটা হিরোইজম তৈরি হয়েছে। তারা নিজেদের একটি গ্রুপ তৈরি করে বিভিন্নভাবে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।

কিশোর অপরাধের লাগাম টানতে জেলা শহর ছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে দাবি জেলা পুলিশের। জেলা পুলিশ সুপার মো. সাফিউল সারোয়ার বলেন, গত দুই মাসে কিছুটা কিশোর অপরাধের কর্মকাণ্ড বেড়েছে। তবে আমরা কিশোরদের অপরাধ যাচাই করে তাদের মোটিভেশন কার্যক্রমের উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, জেলা শহরের ২০টি পয়েন্ট কিশোর অপরাধের স্পট হিসেবে তালিকা করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। চুরি ছিনতাই, মাদক কারবারিসহ স্কুল-কলেজে কিশোরদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনায় শতাধিক অভিযোগ গত ৩ মাসে নথিভুক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এবার নওগাঁয় বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, অতিষ্ঠ স্থানীয়রা।

Update Time : ৮ ঘন্টা আগে

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

নওগাঁয় বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। কিশোররা চুরি, ছিনতাই ও মাদক সেবনসহ তুচ্ছ কারণে জড়াচ্ছে সংঘাতে। জেলার অন্তত ২০ স্পটে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। শিক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, কিশোর অপরাধের লাগাম টানতে জেলায় বিভিন্ন স্পটে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

গত কয়েক মাস ধরেই জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্পটে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। বিশেষ করে ছোট যমুনা নদীর ধার, ডিগ্রি কলেজ চত্বর, কেডির মোড় বাইপাস সড়ক, পার্ক রোডে বেড়েছে বখাটে কিশোরদের তৎপরতা। দলবদ্ধ কিশোরের হাতে ছিনতাইসহ ঘটছে নারী শিক্ষার্থী নিগৃহের ঘটনাও ।

ভুক্তভোগীরা জানান, শহরে চলার পথে মাঝে মধ্যেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে হচ্ছে। নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় মাদক কারবার নিয়ে একদল কিশোরের এ সংঘাতের এ ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

শিক্ষকরা বলছেন, গত কয়েক মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। স্কুল কলেজের নামে বাসা থেকে বের হলেও প্রতিষ্ঠানে হাজিরা না দিয়ে অনেক কিশোর ও তরুণ ভিন্ন কাজে ব্যয় করছেন সময়। এ ক্ষেত্রে সন্তানদের প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে।

নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সামসুল আলম বলেন, কলেজে অনেক শিক্ষার্থী এখন আসছে না। তারা বাইরে বেশি সময় ব্যয় করছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের সাথে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি কিন্তু খুব একটা ইতিবাচক সাড়া মিলছে না।

নওগাঁ কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রউফ বলেন, স্কুলের বাইরে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কাজে শিক্ষার্থীদের জড়িয়ে পড়ায় পড়ার প্রতি মনোযোগ কমে গেছে।

মানবাধিকার কর্মী নাইস পারভিন বলেন, আন্দোলনের পরবর্তী কিছু কিশোরদের ভেতর একটা হিরোইজম তৈরি হয়েছে। তারা নিজেদের একটি গ্রুপ তৈরি করে বিভিন্নভাবে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।

কিশোর অপরাধের লাগাম টানতে জেলা শহর ছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে দাবি জেলা পুলিশের। জেলা পুলিশ সুপার মো. সাফিউল সারোয়ার বলেন, গত দুই মাসে কিছুটা কিশোর অপরাধের কর্মকাণ্ড বেড়েছে। তবে আমরা কিশোরদের অপরাধ যাচাই করে তাদের মোটিভেশন কার্যক্রমের উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, জেলা শহরের ২০টি পয়েন্ট কিশোর অপরাধের স্পট হিসেবে তালিকা করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। চুরি ছিনতাই, মাদক কারবারিসহ স্কুল-কলেজে কিশোরদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনায় শতাধিক অভিযোগ গত ৩ মাসে নথিভুক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।