, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাজেকে স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম শুরু

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ১৫ ঘন্টা আগে
  • ১৩৭৩ Time View


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:

রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন এলাকা সাজেকে স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের অপারেশনাল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। গত ১২ মে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর জনবল সংযুক্ত করে অফিস আদেশ জারি করে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) থেকে স্টেশনটি অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে। শুক্রবার (১৫ মে) ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদরদফতরের মিডিয়া সেল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং মাত্র তিন মাসের মধ্যে স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনটি চালু করা সম্ভব হয়।

বর্তমানে সাজেকের ২৭ বিজিবির সহযোগিতায় নির্মিত অস্থায়ী ভবনে ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এখানে দুটি ইউনিটসহ মোট ৮ জন ফায়ারকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। সাজেক ও এর আশপাশের এলাকায় এখন থেকে যেকোনও অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনায় জরুরি সেবার জন্য ০১৫১৯-০২১৬৬১ নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এই স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্রিক সাজেক এলাকার অগ্নিনিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। এটি আপাতত একটি স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন হলেও ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ ফায়ার স্টেশন চালু হলে বাঘাইছড়ি উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে সেবা দেওয়া যাবে।

এরআগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিকেরও বেশি রিসোর্ট-কটেজ ও বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরআগে কোনও সাজেকে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ছিল না। সেদিন সকালে আগুন লাগার তিন ঘণ্টা পর বিকাল ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও পানছড়ি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর বিকাল সোয়া ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্র জানিয়েছিল, দুপুরে রুইলুইপাড়ার হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) লাল থাংয়া লুসাইয়ের বাসভবনের পাশে সাজেক ইকো ভ্যালি নামের একটি রিসোর্টে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশের বসতঘর ও রিসোর্ট-কটেজে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়।

রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির তথ্যমতে, ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি রিসোর্ট ও কটেজ, ৩৬টি বসতঘর, ৬টি রেস্তোরাঁ ও ২০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, আগুনে অন্তত ১৪০টি রিসোর্ট-কটেজ ও বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

১৬/৫/২০২৫/সুরমা টিভি/শামীমা

সাজেকে স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম শুরু

Update Time : ১৫ ঘন্টা আগে


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:

রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন এলাকা সাজেকে স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের অপারেশনাল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। গত ১২ মে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর জনবল সংযুক্ত করে অফিস আদেশ জারি করে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) থেকে স্টেশনটি অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে। শুক্রবার (১৫ মে) ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদরদফতরের মিডিয়া সেল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং মাত্র তিন মাসের মধ্যে স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনটি চালু করা সম্ভব হয়।

বর্তমানে সাজেকের ২৭ বিজিবির সহযোগিতায় নির্মিত অস্থায়ী ভবনে ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এখানে দুটি ইউনিটসহ মোট ৮ জন ফায়ারকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। সাজেক ও এর আশপাশের এলাকায় এখন থেকে যেকোনও অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনায় জরুরি সেবার জন্য ০১৫১৯-০২১৬৬১ নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এই স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্রিক সাজেক এলাকার অগ্নিনিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। এটি আপাতত একটি স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন হলেও ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ ফায়ার স্টেশন চালু হলে বাঘাইছড়ি উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে সেবা দেওয়া যাবে।

এরআগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিকেরও বেশি রিসোর্ট-কটেজ ও বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরআগে কোনও সাজেকে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ছিল না। সেদিন সকালে আগুন লাগার তিন ঘণ্টা পর বিকাল ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও পানছড়ি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর বিকাল সোয়া ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্র জানিয়েছিল, দুপুরে রুইলুইপাড়ার হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) লাল থাংয়া লুসাইয়ের বাসভবনের পাশে সাজেক ইকো ভ্যালি নামের একটি রিসোর্টে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশের বসতঘর ও রিসোর্ট-কটেজে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়।

রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির তথ্যমতে, ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি রিসোর্ট ও কটেজ, ৩৬টি বসতঘর, ৬টি রেস্তোরাঁ ও ২০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, আগুনে অন্তত ১৪০টি রিসোর্ট-কটেজ ও বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

১৬/৫/২০২৫/সুরমা টিভি/শামীমা