পহেলগাম হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছিল ভারত। এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে, অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল বলে দাবি করেছে ভারতের সেনাবাহিনী। এক বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন ওই সেনা কর্মকর্তা।
সোমবার (১৯ মে) মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি জানিয়েছেন, ‘ভারতের অপারেশন সিন্দুরের পাল্টা জবাবে ৭-৮ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল।’
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু নেই জেনেও আমরা ধারণা করেছিলাম, তারা ভারতীয় সামরিক স্থাপনা, ধর্মীয় স্থানসহ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হানতে পারে। এর মধ্যে স্বর্ণ মন্দিরটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে আমাদের।’
মেজর জেনারেল শেষাদ্রি বলেন, ‘স্বর্ণ মন্দিরকে একটি সামগ্রিক বিমান প্রতিরক্ষা দেয়ার জন্য আমরা অতিরিক্ত আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা মোতায়েন করেছি।’
মেজর জেনারেল জানান, ‘৮ মে ভোরে অন্ধকারের মধ্যে, পাকিস্তান বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। মূলত ড্রোন এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল এবং সমস্ত হুমকি প্রতিহত করে ধ্বংস করে দেয়।’
সেনা কর্মকর্তা আরও জানান, ‘আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত ছিলাম কারণ আমরা এটি আগে থেকেই অনুমান করেছিলাম। আমাদের সাহসী এবং সতর্ক সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘৃণ্য পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয় এবং স্বর্ণ মন্দিরকে লক্ষ্য করে সমস্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করে। এভাবে, আমাদের পবিত্র স্বর্ণ মন্দিরে একটি আঁচড়ও লাগতে দেয়নি।’
এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী কীভাবে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং এল-৭০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে পাকিস্তানি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধাগ্রস্ত এবং নিষ্ক্রিয় করেছে এবং স্বর্ণ মন্দির এবং পাঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোকে সুরক্ষিত করেছে তা দেখানোর জন্য একটি প্রদর্শনীও পরিচালনা করেছে।
এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছিল যে, রাতের হামলায় অমৃতসর, জম্মু, শ্রীনগর, পাঠানকোট, জলন্ধর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং ভূজসহ একাধিক ভারতীয় শহর এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করেছিল ইসলামাবাদ। কাশ্মীর জুড়েও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।