অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে স্থলপথে নির্দিষ্ট কিছু পণ্য বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। জারি করা হয়েছে নতুন বিজ্ঞপ্তি। রবিবার ওই নির্দেশিকার প্রভাব পড়লো উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে (বাংলাদেশের বেনাপোল)। তবে ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরে স্বাভাবিক আছে বাণিজ্য।
পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে খবর, রোজ প্রায় ১৫টি পণ্য বোঝাই ট্রাক ওপার বাংলা থেকে ভারতে আসত। সেগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। সোমবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তাই ব্যবসার পরিবেশ ফিরে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারত সরকার জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশি পোশাক, খাবার, বিভিন্ন জিনিসপত্র আর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে না। প্যাকেটের পানীয়, কাঠের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয় এবং পশ্চিম বাংলার চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। বাংলাদেশের বস্ত্র এবং সুতির থান পেট্রাপোল এবং অন্য কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আমদানি হবে না। শুধু কলকাতা ও মুম্বাই বন্দর দিয়ে সেগুলো এদেশে আসবে। এই নির্দেশিকায় পেট্রাপোল বন্দরে ৩৬টি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।
বাংলাদেশের পণ্য আমদানিকারক এক ব্যক্তি বলেন, ভারত সরকারের এই নির্দেশিকা জারির কারণে বাংলাদেশের ব্যপক ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ ভারতে বছরে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন তথা ৭০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করে। যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মূল বিষয়। ভারত স্থলবন্দর বন্ধ করায় এখন বাংলাদেশি পোশাক শুধু দেশটির দুটি সামুদ্রিক বন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। এর ফলে খরচ অনেক বেশি হবে।
এই বিষয়ে পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের ডেপুটি কমিশনার দিব্যেন্দু দাস বলেন, ‘রেডিমেড পোশাক আমদানি বন্ধের নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তার প্রভাব পড়ছে পেট্রাপোল বন্দরে। সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে পোশাক আমদানিতে খরচ বাড়বে এবং সময়ও বেশি লাগবে।’
২০/৫/২০২৫/সুরমা টিভি ২৪/শামীমা