ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অযৌক্তিক হামলার জেরে ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। একইসঙ্গে দেশটিতে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২০ মে) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি হাউজ অব কমন্সে জানিয়েছেন, তারা ইসরাইলের সঙ্গে একটি নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৩০ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রোডম্যাপের আওতায় সহযোগিতার বিষয়টি পর্যালোচনা করবো। নেতানিয়াহু সরকারের কর্মকাণ্ডই এ সিদ্ধান্তকে দরকারি করে তুলেছে।’
ডেভিড ল্যামি বলেন, ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে ফরেন অফিসে তলব করে জানানো হয়েছে যে গাজায় ত্রাণ দেয়ার ক্ষেত্রে ইসরাইলের অবরোধ ‘অসমর্থনযোগ্য’।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানকার (গাজার) সংঘাত ‘অন্ধকারের একটি নতুন ধাপে’ প্রবেশ করেছে। গতকাল (সোমবার ) ১০টিরও কম ত্রাণবাহী ট্রাককে গাজায় যেতে দেয়া হয়েছে যা অত্যন্ত ‘জঘন্য’।
ল্যামি অভিযোগ করে বলেন, নেতানিয়াহুর সরকার ‘বিশ্বের চোখে ইসরাইল রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে’। আমাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ইসরাইল সরকারের জঘন্য কাজ এবং কথাবার্তা অব্যাহত আছে।
ইসরাইলের জনগণের উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গাজা যুদ্ধ আপনাদের সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ করছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।’
তিনি বলেন ‘প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অবরোধ এখনি শেষ করুন এবং সাহায্য যেতে দিন।’
এদিকে যুক্তরাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোরস্টেইন সামাজিক মাধ্যম এক্স এ লেখেন, ‘বাইরের চাপ ইসরাইলকে তার অস্তিত্ব রক্ষা ও যারা ইসরাইলকে ধ্বংস করতে চায় সেই শত্রুদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ থেকে সরাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ডেভিড ল্যামির বক্তব্যের আগে যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক ওই আলোচনা একেবারেই অগ্রসর হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য যদি ইসরাইলবিরোধী মনোভাব ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার কারণে অর্থনীতির ক্ষতি করতে চায়, তাহলে সেটি দেশটির নিজের বিষয়।