, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বি’পাকে ট্রাম্প ৪০ কোটি ডলারের ‘উপহার’ পেয়ে!

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • ১৩৮৬ Time View

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

কাতারের রাজ পরিবারের দেওয়া প্রায় ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭ উড়োজাহাজ ‘উপহার’ হিসেবে নিয়ে কড়া রাজনৈতিক সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবকিছু আইন মেনেই হয়েছে, তবে কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছাড়াই এত বড় উপহার নেওয়াকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

পেন্টাগন জানিয়েছে, গত ২১ মে বিমানটি গ্রহণ করেছে মার্কিন সরকার এবং এটিকে প্রেসিডেন্ট পরিবহনের উপযোগী করে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এ রূপান্তর করা হবে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, বিমানটি তার ব্যক্তিগত নয়, বরং প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য, এবং তিনি মেয়াদ শেষে এটি ব্যবহার করবেন না।

তবু বিতর্ক থামছে না। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন বলেন, কেউই বিনা স্বার্থে ৪০ কোটি ডলারের উপহার দেয় না। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো প্রত্যাশা রয়েছে।

সমালোচনা এসেছে ট্রাম্পের নিজের দল থেকেও। রিপাবলিকান সিনেটর র‌্যান্ড পল বলেছেন, বিষয়টি আইনগত হলেও এটা নৈতিক প্রশ্ন তোলে। কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ভবিষ্যতে আমাদের অবস্থান কতটা নিরপেক্ষ থাকবে? 

আরেক সিনেটর টেড ক্রুজ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই উড়োজাহাজের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া সরকার বা সরকারি ব্যক্তি কোনো বিদেশি উপহার গ্রহণ করতে পারে না। এই বিমানের ক্ষেত্রে এখনও কংগ্রেসের স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি—এমনটি নিশ্চিত করেছে একাধিক আইনপ্রণেতা।

Popular Post

বি’পাকে ট্রাম্প ৪০ কোটি ডলারের ‘উপহার’ পেয়ে!

Update Time : ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

কাতারের রাজ পরিবারের দেওয়া প্রায় ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭ উড়োজাহাজ ‘উপহার’ হিসেবে নিয়ে কড়া রাজনৈতিক সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবকিছু আইন মেনেই হয়েছে, তবে কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছাড়াই এত বড় উপহার নেওয়াকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

পেন্টাগন জানিয়েছে, গত ২১ মে বিমানটি গ্রহণ করেছে মার্কিন সরকার এবং এটিকে প্রেসিডেন্ট পরিবহনের উপযোগী করে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এ রূপান্তর করা হবে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, বিমানটি তার ব্যক্তিগত নয়, বরং প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য, এবং তিনি মেয়াদ শেষে এটি ব্যবহার করবেন না।

তবু বিতর্ক থামছে না। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন বলেন, কেউই বিনা স্বার্থে ৪০ কোটি ডলারের উপহার দেয় না। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো প্রত্যাশা রয়েছে।

সমালোচনা এসেছে ট্রাম্পের নিজের দল থেকেও। রিপাবলিকান সিনেটর র‌্যান্ড পল বলেছেন, বিষয়টি আইনগত হলেও এটা নৈতিক প্রশ্ন তোলে। কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ভবিষ্যতে আমাদের অবস্থান কতটা নিরপেক্ষ থাকবে? 

আরেক সিনেটর টেড ক্রুজ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই উড়োজাহাজের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া সরকার বা সরকারি ব্যক্তি কোনো বিদেশি উপহার গ্রহণ করতে পারে না। এই বিমানের ক্ষেত্রে এখনও কংগ্রেসের স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি—এমনটি নিশ্চিত করেছে একাধিক আইনপ্রণেতা।