সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ডাকে তিন দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৭ মে) সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। পূর্ণদিবস কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন পার হলেও সরকারের উচ্চমহল বা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে কোথাও কোথাও শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করতে গিয়ে শিক্ষা অফিসারের বাধার মুখে পড়েছেন।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ জানায়, বাধা দেওয়ার পরও দেশের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ৭৫টি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার শোকজ করছেন। তারপরও তারা কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককেও কর্মবিরতি পালনের কারণে শোকজ করা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সচিব এবং ডিজির নির্দেশের কথা বলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হচ্ছে।
এর আগে তিন দফা দাবিতে গত ৫ মে থেকে ১৫ পর্যন্ত ১ ঘণ্টা, ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ ঘণ্টা এবং ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন তারা।
শিক্ষক সংগঠনটি জানায়, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী শুক্র ও শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ রাখা এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা যেন শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সে দাবিও করেছেন তারা।
তিন দফা দাবি
১. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।
২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।
৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।