, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্বল বেড়িবাঁধ বন্যা আতঙ্কের ভয় বাড়াচ্ছে।

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ১৩৮০ Time View


সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

বরগুনার তালতলী উপজেলার উপকূলবর্তী পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীর তীরে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। দুর্বল বেড়িবাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়ায় চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীর জোয়ারে তালতলীর প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার তেতুলবাড়িয়া, জয়ালভাঙ্গা, ছোটবগী ও সোনাকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, সামান্য জোয়ারেই বসতঘরে পানি ঢুকে পড়ছে। কোথাও কোথাও বাঁধের মাত্র দুই-তিন ফুট অংশ অবশিষ্ট রয়েছে। দ্রুত মেরামত না হলে পরবর্তী জোয়ারেই ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিত ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতি বছরই এ অঞ্চলের মানুষ নদী ভাঙনের শিকার হন। তারা বলেন, উপজেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তালতলী উপকূল। সেই অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারেননি এখানকার মানুষ। কিন্তু এরপরও দৃশ্যমান কোনো টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।https://www.kalbela.com/assets/news_photos/2025/05/29/inside-image/191882_1_1748475448.webp

স্থানীয়দের দাবি, ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই বাঁধ মেরামত, সচল আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতকরণ ও পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে আবারও এক ঝড়েই বিলীন হয়ে যেতে পারে হাজারো মানুষের ঘরবাড়ি, স্বপ্ন ও জীবিকা।

এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তালতলী অঞ্চলের উপ-প্রকৌশলী মো.হিমেল মিয়া বলেন, তালতলীতে আমরা বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলার কাজ করছি। কোথাও নতুন করে ভাঙন দেখা দিলে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ব্যাগ মজুত রয়েছে। প্রয়োজনে তা ব্যবহার করে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে।

দুর্বল বেড়িবাঁধ বন্যা আতঙ্কের ভয় বাড়াচ্ছে।

Update Time : ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫


সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

বরগুনার তালতলী উপজেলার উপকূলবর্তী পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীর তীরে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। দুর্বল বেড়িবাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়ায় চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীর জোয়ারে তালতলীর প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার তেতুলবাড়িয়া, জয়ালভাঙ্গা, ছোটবগী ও সোনাকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, সামান্য জোয়ারেই বসতঘরে পানি ঢুকে পড়ছে। কোথাও কোথাও বাঁধের মাত্র দুই-তিন ফুট অংশ অবশিষ্ট রয়েছে। দ্রুত মেরামত না হলে পরবর্তী জোয়ারেই ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিত ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতি বছরই এ অঞ্চলের মানুষ নদী ভাঙনের শিকার হন। তারা বলেন, উপজেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তালতলী উপকূল। সেই অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারেননি এখানকার মানুষ। কিন্তু এরপরও দৃশ্যমান কোনো টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।https://www.kalbela.com/assets/news_photos/2025/05/29/inside-image/191882_1_1748475448.webp

স্থানীয়দের দাবি, ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই বাঁধ মেরামত, সচল আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতকরণ ও পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে আবারও এক ঝড়েই বিলীন হয়ে যেতে পারে হাজারো মানুষের ঘরবাড়ি, স্বপ্ন ও জীবিকা।

এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তালতলী অঞ্চলের উপ-প্রকৌশলী মো.হিমেল মিয়া বলেন, তালতলীতে আমরা বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলার কাজ করছি। কোথাও নতুন করে ভাঙন দেখা দিলে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ব্যাগ মজুত রয়েছে। প্রয়োজনে তা ব্যবহার করে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে।