সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
সকাল হতেই মেঘে ঢেকে যায় ঢাকার আকাশ। প্রথমে বাতাসের সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি থাকলেও এরপর শুরু হয় মুষলধারে। জ্যৈষ্ঠের মাঝে (১৫ জ্যৈষ্ঠ) এসে এমন বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের। এমন অবস্থায় কিছুটা দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজ সুলতানা কালবেলাকে জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যে কারণে সারাদেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে । এ বৃষ্টিপাত আরও দুদিন বা ৪৮ ঘণ্টা থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যে কারণে সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া অতি ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি অঞ্চলগুলোয় পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে আবহাওয়ার এক বার্তায়।
এদিকে ভোরে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানায়, এদিন দেশের ৬ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ০২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও অন্যান্য অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।