সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক একেএম হাসান মাহমুদুল কবীর কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। জামিন আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ওবাইদুল ইসলাম।
শুনানিতে তিনি বলেন, আমার মক্কেল ২০২১ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত নন। তিনিসহ তার দুই ভাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা মিটিংয়ের জন্য তাকে ডাকা হয়। সেখান থেকে আসার পথে বিকালে তাকে গ্রেফতার করে। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
আনোয়ারা বেগম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য ছিলেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের ৯৪ জনসহ মোট ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে রওনা হয়। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৩টায় মিছিলটি রায় সাহেব বাজার এলাকায় পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের প্ররোচনায় ছাত্রলীগসহ ১০০-১৫০ জন আসামি তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের বর্তমান সেক্রেটারি সুজন মোল্লার বাম চোখে গুলির চারটি স্প্রিন্টার লাগে এবং কয়েকটি গুলি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করায় তাৎক্ষণিক রক্তাক্ত হন। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরে আঘাত করা হয়।