, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

উত্তরায় অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৫:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • ১৩৭৩ Time View

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর উত্তরা থেকে অপহৃত এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার এবং একটি পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা।

বুধবার (২৮ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১০/বি রোডের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার (৩০ মে) ডিএমপির মিডিয়া শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— মো. মাসুম পারভেজ (৩৮), মো. সোলাইমান হোসেন (৩৮), শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), মোছা. মায়া (২৫) ও মোছা. রুলি খানম (১৯)। অভিযানের সময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০ পিস ইয়াবা, দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

ডিএমপি জানায়, গত ২৬ মে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী রূপনগর আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন ২৭ মে রাত আড়াইটার দিকে ভিকটিমের মায়ের মোবাইলে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে উত্তরা পশ্চিম থানায় জানায় ভিকটিমের মা। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে ২৮ মে ভিকটিমকে উদ্ধার ও পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের সময় চক্রের আরও কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছে, তারা একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন বয়সী কিশোরী ও তরুণীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। পরে জোরপূর্বক নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পরিবারকে ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতো। অপারেশন চালানোর জন্য তারা বাসা ভাড়া নিয়ে নির্জন পরিবেশে এসব অপরাধ পরিচালনা করতো।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডিএমপি আরও জানায়, এ ধরনের অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা চাকরির প্রলোভনে কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হন, সে বিষয়ে অভিভাবক ও কিশোরীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Popular Post

উত্তরায় অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার

Update Time : ০৫:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর উত্তরা থেকে অপহৃত এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার এবং একটি পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা।

বুধবার (২৮ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১০/বি রোডের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার (৩০ মে) ডিএমপির মিডিয়া শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— মো. মাসুম পারভেজ (৩৮), মো. সোলাইমান হোসেন (৩৮), শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), মোছা. মায়া (২৫) ও মোছা. রুলি খানম (১৯)। অভিযানের সময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০ পিস ইয়াবা, দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

ডিএমপি জানায়, গত ২৬ মে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী রূপনগর আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন ২৭ মে রাত আড়াইটার দিকে ভিকটিমের মায়ের মোবাইলে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে উত্তরা পশ্চিম থানায় জানায় ভিকটিমের মা। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে ২৮ মে ভিকটিমকে উদ্ধার ও পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের সময় চক্রের আরও কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছে, তারা একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন বয়সী কিশোরী ও তরুণীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। পরে জোরপূর্বক নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পরিবারকে ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতো। অপারেশন চালানোর জন্য তারা বাসা ভাড়া নিয়ে নির্জন পরিবেশে এসব অপরাধ পরিচালনা করতো।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডিএমপি আরও জানায়, এ ধরনের অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা চাকরির প্রলোভনে কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হন, সে বিষয়ে অভিভাবক ও কিশোরীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।