, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যমুনার সামনে ‘তথ্য আপা’ কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • ১৩৭৬ Time View

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা এলাকায় অবস্থানরত ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের জোর করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে আন্দোলনকারীরা। পুলিশের ধাওয়ায় তারা সরে যেতে বাধ্য হন। রবিবার (১ জুন) বিকাল ৪টায় এ ঘটনা ঘটনা ঘটে।

এর আগে বিকাল পৌনে ৪টায় পুলিশ কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন তাদের সরে যাওয়ার জন্য ১০ মিনিটের সময় দিয়ে মাইকিং করে। তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সরকার আন্তরিক। সরকারের সঙ্গে তাদের প্রতিনিধিদের আলোচনায় অচিরেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারপরও না সরলে জোর করে সরিয়ে দেওয়া হবে।

এ সময়ের মধ্যে তারা সরে না যাওয়ায় বিকাল ৪টায় পুলিশ অ্যাকশনে যায়। তাদের সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ব্যানার-ফেস্টুন ও বিছানাপত্রও কেড়ে নেয়। এতে রমনা জোনের এসি মামুনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

তারও আগে সকালে যমুনার সামনে আসতে চাইলে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের শতাধিক কর্মী যমুনার মোড়ে অবস্থান নেন। অসুস্থতার কারণে কারও কারও শরীরে স্যালাইন লাগানো ছিল।

আন্দোলনকারীদের একজন খুরশীদা রহমান দুপুরে বলেছিলেন, এর আগে আমাদের চার দফা দাবি থাকলে বর্তমানে আমরা দুই দফা দাবিতে রাজপথে রয়েছি।

তথ্য আপা প্রকল্প (২য় পর্যায়) এ কর্মরত সব জনবলকে পদ সৃষ্টি করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও কর্মরত জনবলের কাটা বেতন ও অন্যান্য সব ভাতা পরিশোধের দাবিতে গত ২৮ মে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এখানে এসেছি।

তিনি জানান, তাদের চাকরি রাজস্বভুক্ত করার কথা বলে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রতি মাসে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ও কর্মচারীদের বেতন থেকে দেড় হাজার টাকা কেটে নেয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু দাবি পূরণের কোনও অগ্রগতি না দেখে গত ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। মাঝে তিন মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

তথ্য আপা কর্মীদের ভাষ্যমতে, অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এ প্রকল্পে যোগ দেন তারা। ৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে একজন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (দশম গ্রেড), দুজন তথ্যসেবা সহকারী (১৬তম গ্রেড) ও একজন করে অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন।

তৃণমূল নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি— এই ৮টি বিষয়ে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা দিয়ে আসছেন দেড় হাজার কর্মী।

যমুনার সামনে ‘তথ্য আপা’ কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি

Update Time : ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা এলাকায় অবস্থানরত ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের জোর করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে আন্দোলনকারীরা। পুলিশের ধাওয়ায় তারা সরে যেতে বাধ্য হন। রবিবার (১ জুন) বিকাল ৪টায় এ ঘটনা ঘটনা ঘটে।

এর আগে বিকাল পৌনে ৪টায় পুলিশ কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন তাদের সরে যাওয়ার জন্য ১০ মিনিটের সময় দিয়ে মাইকিং করে। তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সরকার আন্তরিক। সরকারের সঙ্গে তাদের প্রতিনিধিদের আলোচনায় অচিরেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারপরও না সরলে জোর করে সরিয়ে দেওয়া হবে।

এ সময়ের মধ্যে তারা সরে না যাওয়ায় বিকাল ৪টায় পুলিশ অ্যাকশনে যায়। তাদের সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ব্যানার-ফেস্টুন ও বিছানাপত্রও কেড়ে নেয়। এতে রমনা জোনের এসি মামুনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

তারও আগে সকালে যমুনার সামনে আসতে চাইলে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের শতাধিক কর্মী যমুনার মোড়ে অবস্থান নেন। অসুস্থতার কারণে কারও কারও শরীরে স্যালাইন লাগানো ছিল।

আন্দোলনকারীদের একজন খুরশীদা রহমান দুপুরে বলেছিলেন, এর আগে আমাদের চার দফা দাবি থাকলে বর্তমানে আমরা দুই দফা দাবিতে রাজপথে রয়েছি।

তথ্য আপা প্রকল্প (২য় পর্যায়) এ কর্মরত সব জনবলকে পদ সৃষ্টি করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও কর্মরত জনবলের কাটা বেতন ও অন্যান্য সব ভাতা পরিশোধের দাবিতে গত ২৮ মে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এখানে এসেছি।

তিনি জানান, তাদের চাকরি রাজস্বভুক্ত করার কথা বলে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রতি মাসে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ও কর্মচারীদের বেতন থেকে দেড় হাজার টাকা কেটে নেয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু দাবি পূরণের কোনও অগ্রগতি না দেখে গত ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। মাঝে তিন মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

তথ্য আপা কর্মীদের ভাষ্যমতে, অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এ প্রকল্পে যোগ দেন তারা। ৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে একজন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (দশম গ্রেড), দুজন তথ্যসেবা সহকারী (১৬তম গ্রেড) ও একজন করে অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন।

তৃণমূল নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি— এই ৮টি বিষয়ে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা দিয়ে আসছেন দেড় হাজার কর্মী।