সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মইজ্জয়ারটেক পশুরহাটে এবার নতুন চমক মরুভূমির জাহাজ ‘উট’। প্রথমবারের মতো পশুরহাটে আসা এসব উট দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন কৌতূহলী মানুষ। কেউ কেউ ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন, শিশুরা উটের চারপাশ ঘিরে হৈ-চৈ করছে। এর আগে ২০২২ সালে এ হাটে গোলাপি মহিষ তুলে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এক খামারি। এবার সেই চমককে ছাপিয়ে গেছে উটের উপস্থিতি।
এ হাটে আনা হয়েছে তিনটি উট। প্রতিটির ওজন অন্তত ১৫ মণ। উচ্চতা ১২ ফুট। প্রতিটি উটের দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মধ্যে।
যশোরের বেনাপোলের ফিরোজ-মামুন ডেইরি ফার্ম থেকে আনা হয়েছে এ তিন উট। ফিরোজ-মামুন ডেইরি ফার্মের প্রতিনিধি গাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নতুন কিছু উপস্থাপনের চিন্তা থেকেই উটগুলো হাটে এনেছি। আমরা তিনটি উটের পাশাপাশি ২৬টি গরু আর ৬টি মহিষ এনেছি। কোরবানির দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে। উটগুলো বেনাপোল হয়ে এসেছে, মূল উৎস ভারতের রাজস্থান এলাকা। দাম চাচ্ছি ৩০ লাখ টাকা থেকে ৩৫ লাখ পর্যন্ত। তবে এখনও বিক্রি হয়নি। দর কষাকষি চলছে। আরও সময় আছে দেখা যাক।
মইজ্জারটেক পশুর হাটের ইজারাদার জসিম উদ্দিন জুয়েল বলেন, প্রতি বছর আমাদের হাটে গরু-মহিষ তোলা হয়। তবে এবার শৌখিন ক্রেতাদের কথা ভেবে বড় আকৃতির কয়েকটি উট তোলা হয়েছে। এসব উট যেন হাটের এক বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলমগীর বলেন, এবার চট্টগ্রামে সবমিলিয়ে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রামে। খামারগুলোতে প্রস্তুত আছে প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি পশু। আর চাহিদার তুলনায় ঘাটতি রয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৭টি পশুর। যেগুলো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উপজেলা থেকে যোগান দেবে।
কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ জানান, ইজারাবিহীন কোনও স্থানে হাট বসতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে কিছু অবৈধ হাট উচ্ছেদও করা হয়েছে। হাটে লেনদেন নিরাপদ রাখতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।