সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য নথিপত্রের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রকে (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এজন্য জনপ্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আইনি কাঠামোর মধ্যেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (৩ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এস এম হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, আমরা যাদের এনআইডি সংশোধন করে থাকি, এদের মধ্যে বিরাট একটি অংশ সরকারি চাকরিজীবী। আগে তারা ভাউচারের মাধ্যেম বেতন পেতেন। আইবাসের মাধ্যমে এনআইডি ভিত্তিতে বেতন পান। এটা তাদের রুটি রুজি, বেতন-ভাতা সন্তানদের ভরণপোষন ইত্যাদি জড়িয়ে আছে। আইবাসে বেতন হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনও কোনও অফিস এনআইডি ঠিক না হলে বেতন চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে বলেছে। তখন তারা আইবাসে যায়, আইবাস থেকে তাদের অফিসে যায়, তারা বলে তাদের কিছু করার নেই। তখন তারা আমাদের কাছে আাসেন। আমাদের অফিসে এলেও অনেক সময় সরাসরি সংশোধন করা যায় না। অনেক সময় নিষ্কৃতিও দেওয়া যায় না।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, যাদেরটা সহজে দেওয়া যায় সেগুলো আমরা সংশোধন করে দেই। যেগুলো করা যায় না, সেগুলোর ক্ষেত্রে ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করি। এটা আমাদের জন্য, দেশের জন্য এবং যারা ভুক্তভোগী সবার জন্যই সমস্যা। সভায় আগতরা উৎসাহিত হয়েছেন এবং বলেছেন যে, এটা আমাদের ফলো করা দরকার।
নিয়োগের ক্ষেত্রে এনআইডি বাধাতামূলক করার জন্য জনপ্রশাসনের আইনের কাঠামোর মধ্যে আনা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অলরেডি একটা আইনি কাঠামোর মধ্যে আছে। জনপ্রশাসনের ক্ষেত্রে এসএসসির সনদে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এনআইডির বিষয়ে জনপ্রশাসনের আইন যেটা সবাই ফলো করে, সেটার মধ্যে আনতে আমরা সেই উদ্যোগটা নেবো। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, যেসব অফিস বা প্রতিষ্ঠান- ধরেন স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, তাদের তো মিনিস্ট্রি থেকে এনআইডি আমলে নেওয়ার জন্য জানাতে হবে। তারা জানাবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।