গাজা সিটির আল-আহলি হাসপাতালে (যা ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতাল নামেও পরিচিত) ফের হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ৬০৮তম দিনের মতো গাজাজুড়ে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এর ধারাবাহিকতায় আল-আহলি হাসপাতালেও বোমা ফেলা হয়। এসব হামলায় মোট ২৩ জন নিহত হয়েছে।
আল-আহলি হাসপাতালে হামলায় নিহত দুই সাংবাদিকের নাম জানিয়েছে আল জাজিরা আরবি। নিহতরা হলেন ইসমাইল বাদাহ ও সুলাইমান হাজা। তারা প্যালেস্টাইন টুডে চ্যানেলে কাজ করতেন এবং হাসপাতালের ভেতরেই তাদের হত্যা করা হয়। নিহত তৃতীয়জন হলেন শামস নিউজ এজেন্সির সামির আল-রিফাই।
-আহলি আরব হাসপাতালের চিকিৎসক ফাদেল নাইম বলেন, আজ সকালে অষ্টমবারের মতো ইসরাইলি সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় চিকিৎসা কেন্দ্রটি। যা মাত্র দুই সপ্তাহ আগে নতুন করে খোলা হয়েছে।
এই চিকিৎসক জানান, হামলা চালানো হয়েছে ড্রোন দিয়ে। তার কথায়, ‘হঠাৎ আমরা একটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেলাম। এতে তিন সাংবাদিকসহ ছয়জন নিহত এবং প্রায় ৪০ জন আহত হন।
গাজা শহর থেকে ফোনে চিকিৎসক নাইম আল জাজিরাকে জানান, ‘এর মধ্যেই কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার কথায়, ‘আমাদের আর কোন উপায় নেই, আমরা গাজার উত্তরাঞ্চলে একমাত্র হাসপাতাল।’
হাসপাতালে হামলার নিন্দা জানিয়েছে হামাস। গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইল একটি ‘নতুন অপরাধ’ করেছে। বিবৃতি মতে, ‘সাংবাদিকদের উপর দখলদারদের হামলা একটি নিয়মতান্ত্রিক অপরাধ যার লক্ষ্য তাদের কণ্ঠ থামিয়ে দেয়া এবং তাদের অপরাধের সাক্ষ্য মুছে ফেলা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার এবং দখলদারদের চলমান অপরাধের জন্য তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।’