, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নোটিশ :

মরক্কোতে এবার পশু কোরবানিতে নিষেধাজ্ঞা

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ২২ ঘন্টা আগে
  • ১৩৭৫ Time View

মরক্কোর ৯৯ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। দেশটিতে এ বছর ঈদুল আজহায় কোরবানি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে। কিন্তু কেন এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত?
সিদ্ধান্তের পেছনের কারণগুলো কী

গত ছয় বছর ধরে মরক্কোয় তীব্র খরা চলছে। যার ফলে গবাদি পশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে ভেড়ার সংখ্যা গত এক দশকে ৩৮ শতাংশ কমেছে এবং এ বছর বৃষ্টিপাত গড়ে ৫৩ শতাংশ কম।

এর ফলে চারণভূমির অবস্থা খারাপ হয়েছে, যার ফলে পশুখাদ্য ও পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মাংস উৎপাদনও হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে দেশের অর্থনীতি এবং খাদ্য সরবরাহে প্রভাব পড়েছে।

যেসব পশু এখনও অবশিষ্ট আছে সেগুলো রক্ষায় এ বছর কোরবানি না দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া কৃষিখাতের স্থায়িত্ব রক্ষাতেও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

সাধারণ মানুষ যেন এই সরকারি আদেশ অমান্য করতে না পারেন সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ও তদারকি বাহিনীকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া পশু পরিবহনের পথেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কেউ আদেশ অমান্য করে পশু কোরবানি করলে তাকে বিপুল অর্থ জরিমানা এমনকি কোরবানির পশু জব্দ করার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সরকারি বাহিনী বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে সাধারণ মানুষের কেনা ভেড়া জব্দ করছে।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, তারা এই সরকারি আদেশ কোনোভাবেই মানবেন না এবং ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন।
খরা ও গবাদি পশুর ঘাটতির কারণে মরক্কোয় মাংসের দাম তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে অনেক পরিবারের জন্য কোরবানির জন্য পশু কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরকার মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ১ লাখ ভেড়া আমদানির জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং গরু, ভেড়া ও উটের উপর থেকে আমদানি শুল্ক এবং ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। তবে এই পদক্ষেপ দেশটির কোরবানির যে ঐতিহ্য তা পূরণ হয়নি।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য ইসলামিব ইনফরমেশন

Popular Post

মরক্কোতে এবার পশু কোরবানিতে নিষেধাজ্ঞা

Update Time : ২২ ঘন্টা আগে

মরক্কোর ৯৯ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। দেশটিতে এ বছর ঈদুল আজহায় কোরবানি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে। কিন্তু কেন এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত?
সিদ্ধান্তের পেছনের কারণগুলো কী

গত ছয় বছর ধরে মরক্কোয় তীব্র খরা চলছে। যার ফলে গবাদি পশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে ভেড়ার সংখ্যা গত এক দশকে ৩৮ শতাংশ কমেছে এবং এ বছর বৃষ্টিপাত গড়ে ৫৩ শতাংশ কম।

এর ফলে চারণভূমির অবস্থা খারাপ হয়েছে, যার ফলে পশুখাদ্য ও পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মাংস উৎপাদনও হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে দেশের অর্থনীতি এবং খাদ্য সরবরাহে প্রভাব পড়েছে।

যেসব পশু এখনও অবশিষ্ট আছে সেগুলো রক্ষায় এ বছর কোরবানি না দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া কৃষিখাতের স্থায়িত্ব রক্ষাতেও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

সাধারণ মানুষ যেন এই সরকারি আদেশ অমান্য করতে না পারেন সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ও তদারকি বাহিনীকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া পশু পরিবহনের পথেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কেউ আদেশ অমান্য করে পশু কোরবানি করলে তাকে বিপুল অর্থ জরিমানা এমনকি কোরবানির পশু জব্দ করার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সরকারি বাহিনী বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে সাধারণ মানুষের কেনা ভেড়া জব্দ করছে।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, তারা এই সরকারি আদেশ কোনোভাবেই মানবেন না এবং ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন।
খরা ও গবাদি পশুর ঘাটতির কারণে মরক্কোয় মাংসের দাম তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে অনেক পরিবারের জন্য কোরবানির জন্য পশু কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরকার মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ১ লাখ ভেড়া আমদানির জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং গরু, ভেড়া ও উটের উপর থেকে আমদানি শুল্ক এবং ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। তবে এই পদক্ষেপ দেশটির কোরবানির যে ঐতিহ্য তা পূরণ হয়নি।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য ইসলামিব ইনফরমেশন