, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে হারিয়ে মাস সেরা হলেন আমিরাতের অধিনায়ক

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ৬ ঘন্টা আগে
  • ১৩৭১ Time View

পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। পরে আরও একটি ম্যাচ বাড়ায় তিন ম্যাচের সিরিজে রূপ নেয় তা। আর তাতেই লজ্জার মুখে পড়তে হয়েছে টাইগারদের। আইসিসির এই সহযোগী সদস্যের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে পূর্ণ সদস্য বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় মে মাসের সেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন পেয়েছিলেন আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়সিম।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিককালে একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উপহার দিয়েছেন। সম্ভাবনাময় দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে। গত মে মাসটা দারুণ কাটিয়েছেন আমিরাতের অধিনায়ক। সাদা বলের ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন মাসজুড়েই। গত মাসে পাঁচ ওয়ানডে ম্যাচে ৯০.৩৭ স্ট্রাইক রেটে ১৬৯ রান করেছেন। তবে সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য।
তিন ম্যাচের সিরিজে টানা দুটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে তার দলের প্রথম সিরিজ জয়ে। যার পুরস্কার হিসেবে আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। মে মাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে শনিবার (৭ জুন) তার নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দল হেরে গেলেও ওয়াসিম ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তার ইনিংসে ভর করে সে ম্যাচেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল আমিরাত।

এরপর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৪২ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসে ভর করে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পায় আমিরাত। শেষ ম্যাচে অবশ্য মাত্র ৯ রানে আউট হয়ে যান তিনি। পুরো সিরিজে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪৫ রান।
সম্মানজনক এই পুরস্কার দ্বিতীয়বারের মতো জেতার পর উত্তেজনা ঢাকার চেষ্টা করেননি ওয়াসিম। আইসিসির কাছে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় সমর্থক এবং পুরো দলের কাছে তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি, ‘দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কার জিততে পেরে আনন্দিত। আইসিসি এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ আমাকে ভোট দেয়ার জন্য। আমি আমার সকল সতীর্থ এবং সহায়তাকারী সদস্যদেরও ধন্যবাদ দিতে চাই, এই পুরস্কারটা যতটাই আমার ঠিক ততটাই তাদেরও।’

২০২৪ এর এপ্রিলে প্রথমবারের মতো মাসসেরা হয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয়বারের মতো মাসসেরা হয়ে ইতিহাস গড়েছেন পাকিস্তানে জন্ম নেয়া এই ২৯ বছর বয়সী। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একাধিকবার মাসসেরা হলেন তিনি।

Popular Post

বাংলাদেশকে হারিয়ে মাস সেরা হলেন আমিরাতের অধিনায়ক

Update Time : ৬ ঘন্টা আগে

পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। পরে আরও একটি ম্যাচ বাড়ায় তিন ম্যাচের সিরিজে রূপ নেয় তা। আর তাতেই লজ্জার মুখে পড়তে হয়েছে টাইগারদের। আইসিসির এই সহযোগী সদস্যের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে পূর্ণ সদস্য বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় মে মাসের সেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন পেয়েছিলেন আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়সিম।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিককালে একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উপহার দিয়েছেন। সম্ভাবনাময় দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে। গত মে মাসটা দারুণ কাটিয়েছেন আমিরাতের অধিনায়ক। সাদা বলের ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন মাসজুড়েই। গত মাসে পাঁচ ওয়ানডে ম্যাচে ৯০.৩৭ স্ট্রাইক রেটে ১৬৯ রান করেছেন। তবে সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য।
তিন ম্যাচের সিরিজে টানা দুটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে তার দলের প্রথম সিরিজ জয়ে। যার পুরস্কার হিসেবে আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। মে মাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে শনিবার (৭ জুন) তার নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দল হেরে গেলেও ওয়াসিম ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তার ইনিংসে ভর করে সে ম্যাচেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল আমিরাত।

এরপর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৪২ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসে ভর করে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পায় আমিরাত। শেষ ম্যাচে অবশ্য মাত্র ৯ রানে আউট হয়ে যান তিনি। পুরো সিরিজে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪৫ রান।
সম্মানজনক এই পুরস্কার দ্বিতীয়বারের মতো জেতার পর উত্তেজনা ঢাকার চেষ্টা করেননি ওয়াসিম। আইসিসির কাছে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় সমর্থক এবং পুরো দলের কাছে তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি, ‘দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কার জিততে পেরে আনন্দিত। আইসিসি এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ আমাকে ভোট দেয়ার জন্য। আমি আমার সকল সতীর্থ এবং সহায়তাকারী সদস্যদেরও ধন্যবাদ দিতে চাই, এই পুরস্কারটা যতটাই আমার ঠিক ততটাই তাদেরও।’

২০২৪ এর এপ্রিলে প্রথমবারের মতো মাসসেরা হয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয়বারের মতো মাসসেরা হয়ে ইতিহাস গড়েছেন পাকিস্তানে জন্ম নেয়া এই ২৯ বছর বয়সী। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একাধিকবার মাসসেরা হলেন তিনি।