ভারতের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই নতুন অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ২০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়েছে পাকিস্তান। সামগ্রিক ব্যয় কমানো হলেও সেনাবাহিনীর বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে আড়াই লাখ কোটি রুপিতে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সামরিক বাজেটে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। এ অর্থবছরের সাশ্রয়ী বাজেটেও সবচেয়ে বেশি সামরিক খাতকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা ব্যয় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় আড়াই লাখ কোটি রুপি বা নয়’শ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও, মোট বাজেট বরাদ্দ ৭ শতাংশ কমেছে।
পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, বাড়তি এই অর্থ ব্যয় হবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালন, অস্ত্র-সরঞ্জাম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতে।
এর আগে, ভারতও প্রতিরক্ষা বাজেট ১০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় আট হাজার কোটি ডলার নির্ধারণ করে। ভবিষ্যত বাজেটে এই খাত আরও অগ্রাধিকার পাবে বলেও জানায় ভারত সরকার।
কাশ্মীরের পহেলগামের বন্দুকধারীর হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। মে মাসের শুরুতে চারদিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালায় দুই দেশ। এতে ড্রোন, যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ।
সামরিক এ সংঘাতে প্রথমবারের মতো চীনের তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে পাকিস্তান। বিমানগুলো ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল বলে দাবি করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিপর্যয় স্পষ্ট ছিল বলে দাবি ভারতের। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, পাকিস্তানের আটটি প্রধান বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে কার্যত যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয় নয়াদিল্লি।