ইসরাইলে ইরানের পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। শুক্রবার রাতে ও শনিবার ভোরে এসব হামলা চালায় তেহরান।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন বলা হয়, ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনায় হামলার জবাবে শুক্রবার রাতভর ও শনিবার সকালে ইসরাইলজুড়ে শত শত ব্যালিস্টক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার জেরে লাখ লাখ ইসরাইলি আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, মধ্য ইসরাইলের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, ইরানের হামলায় প্রায় ৮০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইসরাইলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। বাকিরা হালকা থেকে মাঝারি আহত বা তীব্র উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন।
ইরানি মিডিয়া দাবি করেছে, শুক্রবার গভীর রাতে প্রথম হামলায় শত শত ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, রাতের চারটি হামলায় প্রতিটিতে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। যদিও নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
ইসরাইলি গণমাধ্যমে দাবি, বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র মধ্য ইসরাইলে আঘাত হানে। এছাড়া তেল আবিব এলাকায় ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং বেশ কয়েকটি স্থানে থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। মধ্য ইসরাইলের বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
আইডিএফ জানিয়েছে, হোম ফ্রন্ট কমান্ডের সৈন্যরা তেল আবিব এলাকার একটি ভবন থেকে একজন বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করেছে। ভবনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আইডিএফ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা হয়েছে। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র দেশে পৌঁছানোর আগেই ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে।
ইসরাইলের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আরও কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই এই ব্যাপক হামলা চালানো জরুরি ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হামলার আগে তেহরান এমন কোনো অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টায় সক্রিয় ছিল না।
ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে প্রথমে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর পর ইসরাইলের দিকে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।