, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পালাক্রমে ধর্ষণ চলন্ত বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে অতঃপর…!

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ১২ ঘন্টা আগে
  • ১৩৭২ Time View


সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে চলন্ত বাসে এক গার্মেন্টস কর্মীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৫ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা বাসটি থামিয়ে দেয় এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাস চালককে আটক করা হয়। তবে হেলপার পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। তিনি রোববার বেলা ১১টার দিকে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচংয়ের উদ্দেশে একটি যাত্রীবাহী বাসে ওঠেন। তার শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ায় শেরপুর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেরপুর থেকে তিনি মা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি লোকাল বাসে করে আউশকান্দির দিকে রওনা দেন। বাসটিতে প্রথমদিকে কিছু যাত্রী থাকলেও আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছানোর পর অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বাসটি ফাঁকা পেয়ে বাসচালক মো. শাহ্ সাব্বির (২৫) ও হেলপার লিটন মিলে চলন্ত বাসে ভুক্তভোগী নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের শিকার নারীর কান্না ও চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে তিনতালাব এলাকায় স্থানীয় জনতা বাসের গতিরোধ করে এবং চালককে আটক করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। 

ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা বাস চালককে আটক করে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।

নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাসচালক শাহ্ সাব্বিরকে আটক করা হয়েছে। পলাতক হেলপার লিটনকে আটকের জন্য অভিযান চলছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং দোষীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।

Popular Post

পালাক্রমে ধর্ষণ চলন্ত বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে অতঃপর…!

Update Time : ১২ ঘন্টা আগে


সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে চলন্ত বাসে এক গার্মেন্টস কর্মীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৫ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা বাসটি থামিয়ে দেয় এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাস চালককে আটক করা হয়। তবে হেলপার পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। তিনি রোববার বেলা ১১টার দিকে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচংয়ের উদ্দেশে একটি যাত্রীবাহী বাসে ওঠেন। তার শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ায় শেরপুর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেরপুর থেকে তিনি মা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি লোকাল বাসে করে আউশকান্দির দিকে রওনা দেন। বাসটিতে প্রথমদিকে কিছু যাত্রী থাকলেও আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছানোর পর অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বাসটি ফাঁকা পেয়ে বাসচালক মো. শাহ্ সাব্বির (২৫) ও হেলপার লিটন মিলে চলন্ত বাসে ভুক্তভোগী নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের শিকার নারীর কান্না ও চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে তিনতালাব এলাকায় স্থানীয় জনতা বাসের গতিরোধ করে এবং চালককে আটক করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। 

ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা বাস চালককে আটক করে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।

নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাসচালক শাহ্ সাব্বিরকে আটক করা হয়েছে। পলাতক হেলপার লিটনকে আটকের জন্য অভিযান চলছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং দোষীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।