ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে একটি গোপন চিঠি পাঠিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। চিঠিটি এরই মধ্যে কাতারের আমিরের হাতে পৌঁছেছে।
বুধবার (১৮ জুন) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে চিঠিতে কি লেখা হয়েছে তা প্রকাশ করেনি। কাতারে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আলি সালেহাবাদির সাথে সাক্ষাতের সময় কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি চিঠিটি গ্রহণ করেন।
ইরানে ইসরাইলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর যেসব দেশ যুদ্ধবিরতি ও পরমাণু আলোচনা শুরু করতে ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছে তাদের অন্যতম
এদিকে ইসরাইলি আগ্রাসন নিয়ে জাতির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বলেছেন, চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়বে তার দেশ। কারও কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। ইরানি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
খামেনির কথায়, ‘ইরান চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। একইভাবে চাপিয়ে দেয়া শান্তির বিরুদ্ধেও দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। এই জাতি চাপের মুখে কারো কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।’
ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। হামলায় ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এসব ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার চেষ্টার পাশাপাশি পাল্টা ইসরাইলে হামলা চালাচ্ছে ইরান।
হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে বার্তা দেন খামেনি। যা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে ইরানের এই নেতা বলেন,
যারা ইরান ও এর ইতিহাস জানে, তারা জানে যে, ইরানিরা হুমকির ভাষায় ভালোভাবে জবাব দেয় না। এবং আমেরিকানদের জানা উচিত যে, মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খামেনির এই বক্তব্য পাঠ করা হয়। উপস্থাপক নিজেই এটি পড়ে শোনান। এতে খামেনি আরও বলেন, ইরানে হামলা চালিয়ে ভুল করেছে ইসরাইল। এই ভুলের জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিলে আমেরিকাকে ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ ভোগ করতে হবে।