সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
ইসরায়েলে বিয়ারশেভার সোরোকার হাসপাতালে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লক্ষ্য করে সামরিক হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার আহতদের খোঁজখবর নিতে সোরোকা মেডিকেল সেন্টারে যান নেতানিয়াহু। হাসপাতালটি সকালে ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খামেনি কি মৃত্যুর প্রহর গুনছেন, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, আমি নির্দেশ দিয়েছি, কেউই রেহাই পাবে না। আমি কথা বলতে চাই না, কাজই যেন কথা বলে।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের সময় শব্দ বাছাই করে কথা বলা দরকার, আর কাজ করতে হয় নিখুঁতভাবে।
নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন, সব বিকল্পই খোলা আছে। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কথা না বলাই ভালো।
তিনি তার মন্ত্রীদের প্রতিও একই আচরণ প্রত্যাশা করেন বলে মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাজ প্রকাশ্যে খামেনিকে হুমকি দিয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটেই নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
নেতানিয়াহু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জড়ানোর সিদ্ধান্ত একান্তই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়। তার ভাষায়, তিনি যা করবেন, আমেরিকার ভালোর জন্য করবেন। আর আমি করব, ইসরায়েলের ভালোর জন্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘খেলাটা’ বোঝেন।
তবে যুদ্ধ পরিচালনায় ইসরায়েল সম্পূর্ণ এককভাবেও সক্ষম বলে দাবি করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, এই অভিযান শেষে ইসরায়েলের ওপর কোনও পারমাণবিক হুমকি থাকবে না, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকিও থাকবে না।
নেতানিয়াহু জানান, চলমান যুদ্ধে প্রতিটি ইসরায়েলি নাগরিকের মতো তার পরিবারও মূল্য দিচ্ছে। তার কথায়, এই যুদ্ধে আমরা সবাই ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমার পরিবারও এর বাইরে নয়। আমার ছেলে বিয়ে স্থগিত করেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল