, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, গণসংহতির বিক্ষোভ মিছিল

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • ১৩৭৮ Time View


সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার (৩০ জুন) রাত প্রায় ৮টার সময় ‍দুটো ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এর প্রতিবাদে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক একটি বিক্ষোভ মিছিল হাতিরপুল কার্যালয় থেকে কাঁচাবাজার হয়ে কাঁটাবন মোড় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে আজকে গণসংহতির কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ করে গণঅভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি ভয় দেখাতে চায়, কিন্তু জনগণের শক্তি এতে মোটেও শঙ্কিত নয়। জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করতে পতিত আওয়ামী লীগ এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, এরই ধারাবাহিকতায় দেশকে আতঙ্কিত করতে এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আগামীকাল জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর। এই সময় এ ধরণের হামলা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।

আবুল হাসান রুবেল আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষ বিচারের যে অগ্রগতি আকাঙ্ক্ষা করেছিল তা এখন পর্যন্ত আশানুরূপ না হয়নি, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। কাজেই দেশজুড়ে মব এবং এরূপ আইনশৃঙ্খলার অবস্থা থাকলে দেশের হতাশা ব্যক্ত করেন। শত শত ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থান বিফলে যেতে পারে না। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের যে ওয়াদা তা যদি পূরণ না হয় এবং দেশে বিচার-সংস্কার ও সুষ্ঠু একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর না ঘটে তাহলে শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হবে এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রও বিপর্যয়ের ভেতর পড়ে যাবে। সরকারের কাছে প্রত্যাশা অবিলম্বে ককটেল বিস্ফোরণকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণঅভ্যুত্থান বিরোধী সকল তৎপরতা রুখে দেবে।

Popular Post

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, গণসংহতির বিক্ষোভ মিছিল

Update Time : ০৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫


সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার (৩০ জুন) রাত প্রায় ৮টার সময় ‍দুটো ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এর প্রতিবাদে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক একটি বিক্ষোভ মিছিল হাতিরপুল কার্যালয় থেকে কাঁচাবাজার হয়ে কাঁটাবন মোড় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে আজকে গণসংহতির কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ করে গণঅভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি ভয় দেখাতে চায়, কিন্তু জনগণের শক্তি এতে মোটেও শঙ্কিত নয়। জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করতে পতিত আওয়ামী লীগ এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, এরই ধারাবাহিকতায় দেশকে আতঙ্কিত করতে এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আগামীকাল জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর। এই সময় এ ধরণের হামলা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।

আবুল হাসান রুবেল আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষ বিচারের যে অগ্রগতি আকাঙ্ক্ষা করেছিল তা এখন পর্যন্ত আশানুরূপ না হয়নি, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। কাজেই দেশজুড়ে মব এবং এরূপ আইনশৃঙ্খলার অবস্থা থাকলে দেশের হতাশা ব্যক্ত করেন। শত শত ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থান বিফলে যেতে পারে না। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের যে ওয়াদা তা যদি পূরণ না হয় এবং দেশে বিচার-সংস্কার ও সুষ্ঠু একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর না ঘটে তাহলে শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হবে এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রও বিপর্যয়ের ভেতর পড়ে যাবে। সরকারের কাছে প্রত্যাশা অবিলম্বে ককটেল বিস্ফোরণকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণঅভ্যুত্থান বিরোধী সকল তৎপরতা রুখে দেবে।