সারাদেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মিটফোর্ডে হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুলের সামনে প্রথমে প্রতিবাদী জমায়েত করে শিক্ষার্থীরা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মিছিল থেকে শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, চাঁদাবাজ নো মোর’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘চব্বিশের বাংলায়, চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘চাঁদাবাজের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘হত্যা করার অধিকার, কে দিল রে জানোয়ার’? ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করার জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয়নি। ঢাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ব্যবসায়ীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা আইয়ামে জাহেলি যুগকেও হার মানিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা চাঁদাবাজি ও দখলদারি শুরু করেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি না করলে এদেশের ছাত্র-জনতা আবারও রাজপথে নামবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, ‘পাঁচ আগস্টের পর নব্য-ফ্যাসিবাদের কায়দায় যারা দখলদারি, টেন্ডারবাজি ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তারা নিজেদের রাষ্ট্রের মালিক ভাবা শুরু করেছে। তাদের হুঁশিয়ারি করতেই আজকের এ বিক্ষোভ মিছিল।’
যদি দ্রুত সোহাগ হত্যার বিচারসহ চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করা না হয় তাহলে ২৪ এর মতো আবারও রাজপথে নামার হুশিয়ারিও দেন তিনি।
বিক্ষোভে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, গণঅধিকার ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন।