ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাদ্য সংকট আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। ফলে অপুষ্টির শিকার রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গাজার হাসপাতালগুলো এমন রোগীতে ভরে গেছে। নতুন কোনো রোগী আসলেও তাদের চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। রোগীর চাপে চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপুষ্টির শিকার এত মানুষ হাসপাতালে আসছে যা নজিরবিহীন। দিনের পর দিন পেটে দানাপানি না পড়ায় তারা চরম ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। নড়ার শক্তিও আর অবশিষ্ট নেই। কারও কারও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেয়েছে।
গাজার আল শিফা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের শত শত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের অনেকেই এতটাই দুর্বল যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না। তাদের নিবিড় চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু এসব রোগীর চিকিৎসা করার মতো ওষুধ ও পথ্য হাসপাতালে নেই।
এদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক বলেছে, গাজা উপত্যকায় খাবারের অভাবে ক্ষুধা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ডব্লিউএফপির উপনির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ বলেন, ‘পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যা আমি আগে কখনও দেখিনি।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কাউ জানান, গাজায় মানবিক সংকট এর আগে কখনও এত বেশি ছিল না। এমনকি জাতিসংঘের সহায়তা করার ক্ষমতাও কখনও এত সীমিত ছিল না বলেও জানান তিনি।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গাজাবাসীর মধ্যে পুষ্টিহীনতা বেড়ে চলেছে। সেখানকার ৯০ হাজার শিশুর জরুরিভাবে পুষ্টিহীনতার চিকিৎসা প্রয়োজন। এছাড়া গাজার প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন দিনের পর দিন না খেয়ে থাকছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। শনিবার (১৯ জুলাই) ৬৫২তম দিনের মতো গাজাজুড়ে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় অন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে গাজার দক্ষিণে রাফাহর কাছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলি বাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৬৬৭ জনে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৭৪ জন ফিলিস্তিনি।

SURMA TV 24 










