সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
গাজীপুরের শ্রীপুরে বন্ধ একটি পাইপ কারখানায় ডাকাতির চেষ্টাকালে ছয় জনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাতখামাইর গ্রামের পিপিএস প্লাস্টিক পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বাঘটিয়া গ্রামের ইদ্রীস আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (৩২), একই জেলার তারাকান্দা উপজেলার ইসমাইল হোসেনের ছেলে এমদাদুল হক (৪৫), নওগাঁর রানীনগর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে আরিফ (৩০), বগুড়ার নন্দিগ্রাম উপজেলার কামুলা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে ফারুক (৩২), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার বালুর মাঠ গ্রামের সাহা আলমের ছেলে সীমান্ত (২১) এবং চাঁদপুরের মতলব উপজেলার মতলবপুর গ্রামের গোদা মোল্লার ছেলে ইব্রাহীম (২৩)।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য নাজমুল আকন্দ রনি বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১০-১২ জনের ডাকাত দল ওই কারখানায় প্রবেশ করে। তারা কারখানার এক নিরাপত্তাকর্মীকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। এ সময় সড়ক দিয়ে পথচারীরা যাওয়ার সময় চিৎকার শুনতে পান। পরে গ্রামবাসী কারখানা ঘেরাও করে ফেললে ডাকাতরা কারখানার পেছনের সীমানাপ্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় গ্রামবাসী ছয় জনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ভাগনে ওই কারখানার মালিক। গত ৫ আগস্টের পর থেকে কারখানাটি বন্ধ।’
কারখানার নিরাপত্তাপ্রহরী মকবুল হোসেন বলেন, ‘উৎপাদন বন্ধ থাকা কারখানাটিতে কেবল দুজন নিরাপত্তাপ্রহরী থাকেন। ডাকাতরা কারখানার সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে আমার হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ সময় আমি চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী কারখানা বাইর থেকে ঘেরাও করলে ডাকাতরা সীমানাপ্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাদের আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী।’
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আজগর হোসেন সোহাগ বলেন, ‘সোমবার মধ্যরাতে শ্রীপুর থানা পুলিশ ছয় জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে চার জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত সোহেল ও এমদাদুল হককে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি আব্দুল বারিক বলেন, ‘কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ডাকাতরা সেটির যন্ত্রপাতি লুট করতে এসেছিল। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ছয় জনকে আটক করে মারধর করে পুলিশে দেয়। তারা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। দুজনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি চার জন পুলিশের হেফাজতে আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’