, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে পাথরের খনিতে কাদা ধসে ৩২ জনের মৃত্যু

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৪৪৫ Time View

মিয়ানমারে উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে জেড পাথরের একটি খনিতে ধসে পড়া কাদার নিচে চাপা পড়ে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু নিহত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন শিশু। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমাও নাউ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) কাচিন রাজ্যের হপাকান্ত টাউনশিপের একটি গ্রামে খনিতে এই কাদাধসের ঘটনা ঘটে। খনন কার্যের ফলে খনির মাঝে তৈরি একটি জলাধারের পাড় ধসে পড়ে। এতে জলাধারের কাদা ধসে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। জলাধারটি খনির বর্জ্য ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। কাদাধসের ফলে সা পাউট গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাদায় ডুবে যায়। প্রায় ৫০টি বাড়িঘর কাদার নিচে চাপা পড়ে এবং এতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও দাতব্য সংস্থাগুলো অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালায় এবং চার শিশুসহ ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধারকর্মীরা বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত ওই গ্রামে ৩১টি লাশ উদ্ধার করেন। অন্যদিকে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এর আগে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে হপাকান্ত টাউনশিপেই অপর একটি খনিতে এমন ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চালীয় প্রদেশগুলো প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। স্বর্ণ ও মূল্যবান পাথরের বেশ কয়েকটি খনি ও দামি কাঠ রয়েছে এখানকার অরণ্যগুলোতে। কিন্তু এই সম্পদের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। খনিজ ও বনজ সম্পদ আহরণে সরকারি নির্দেশনা মানা হয় না। ক্ষমতাসীন জান্তা এবং জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আয়ের বড় একটি উৎস কাচিন ও অন্যান্য উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর খনিজ ও বনজ সম্পদ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ। খনি ও অরণ্যের দখল নিয়ে সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে।

১৬/০২/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।

মিয়ানমারে পাথরের খনিতে কাদা ধসে ৩২ জনের মৃত্যু

Update Time : ০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

মিয়ানমারে উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে জেড পাথরের একটি খনিতে ধসে পড়া কাদার নিচে চাপা পড়ে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু নিহত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন শিশু। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমাও নাউ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) কাচিন রাজ্যের হপাকান্ত টাউনশিপের একটি গ্রামে খনিতে এই কাদাধসের ঘটনা ঘটে। খনন কার্যের ফলে খনির মাঝে তৈরি একটি জলাধারের পাড় ধসে পড়ে। এতে জলাধারের কাদা ধসে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। জলাধারটি খনির বর্জ্য ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। কাদাধসের ফলে সা পাউট গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাদায় ডুবে যায়। প্রায় ৫০টি বাড়িঘর কাদার নিচে চাপা পড়ে এবং এতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও দাতব্য সংস্থাগুলো অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালায় এবং চার শিশুসহ ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধারকর্মীরা বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত ওই গ্রামে ৩১টি লাশ উদ্ধার করেন। অন্যদিকে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এর আগে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে হপাকান্ত টাউনশিপেই অপর একটি খনিতে এমন ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চালীয় প্রদেশগুলো প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। স্বর্ণ ও মূল্যবান পাথরের বেশ কয়েকটি খনি ও দামি কাঠ রয়েছে এখানকার অরণ্যগুলোতে। কিন্তু এই সম্পদের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। খনিজ ও বনজ সম্পদ আহরণে সরকারি নির্দেশনা মানা হয় না। ক্ষমতাসীন জান্তা এবং জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আয়ের বড় একটি উৎস কাচিন ও অন্যান্য উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর খনিজ ও বনজ সম্পদ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ। খনি ও অরণ্যের দখল নিয়ে সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে।

১৬/০২/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।