, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী বাজেটে এসি ও ফ্রিজের দাম বাড়তে পারে

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • ১৩৮৭ Time View


সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
আগামী অর্থবছরের বাজেটে ফ্রিজ ও শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট হার দ্বিগুণ করা হচ্ছে।

বর্তমানে দেশি ফ্রিজ ও এসির ওপর উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হয়। আগামী বাজেটে তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে ফ্রিজ ও এসির দাম বাড়তে পারে।

আগামী ২ জুন আগামী অর্থবছরের বাজেটে মুঠোফোনের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর এই নতুন প্রস্তাব করা হতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে এবারের বাজেট উপস্থাপন করবেন। সেখানে শুল্ক-করসংক্রান্ত পরিবর্তনের প্রস্তাবগুলো থাকবে।

এনবিআরের কর কর্মকর্তারা জানান, দেশি ফ্রিজ ও এসির উৎপাদকেরা কারখানা থেকে সরবরাহ পর্যায়ে এই ভ্যাট দেন। এই হার ১৫ শতাংশ করা হলে ভ্যাট রেয়াত নিতে পারবেন। ফ্রিজ ও এসির উপকরণ বা যন্ত্রাংশ সাধারণত প্রতিষ্ঠিত সরবরাহব্যবস্থা বা প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়।

সূত্রমতে, এ দুই খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে আরও বাড়িয়ে ভ্যাট হার করা হয়েছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন এই খাতগুলোতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বর্তমানে দেশে ওয়ালটন, ইলেক্ট্রোমার্ট, ট্রান্সকম, এসকোয়্যার, সিঙ্গার বাংলাদেশ, বাটারফ্লাই, র‍্যাংগ্স, ইলেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল, মিনিস্টার, ভিশন, এলজিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।

ফ্রিজ ও এসি খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বর্তমান এসির বাজারের দুই-তৃতীয়াংশই এখন দেশি ব্র্যান্ডগুলোর দখলে। শহর এলাকায় বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর চল থাকলেও মফস্‌সলের বাজার পুরোটাই এখন দেশি ব্র্যান্ডগুলোর দখলে। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সাশ্রয়ী মূল্য ও সহজলভ্যতা। বর্তমানে বছরে গড়ে ছয় থেকে সাত লাখ এসি বিক্রি হয়। দ্রুত এ খাতের চাহিদা বাড়ছে। অন্যদিকে ফ্রিজের বাজারেও ওয়ালটনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালী অবস্থান আছে। প্রতিবছর গড়ে ২০ থেকে ২৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়।

Popular Post

আগামী বাজেটে এসি ও ফ্রিজের দাম বাড়তে পারে

Update Time : ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫


সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
আগামী অর্থবছরের বাজেটে ফ্রিজ ও শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট হার দ্বিগুণ করা হচ্ছে।

বর্তমানে দেশি ফ্রিজ ও এসির ওপর উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হয়। আগামী বাজেটে তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে ফ্রিজ ও এসির দাম বাড়তে পারে।

আগামী ২ জুন আগামী অর্থবছরের বাজেটে মুঠোফোনের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর এই নতুন প্রস্তাব করা হতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে এবারের বাজেট উপস্থাপন করবেন। সেখানে শুল্ক-করসংক্রান্ত পরিবর্তনের প্রস্তাবগুলো থাকবে।

এনবিআরের কর কর্মকর্তারা জানান, দেশি ফ্রিজ ও এসির উৎপাদকেরা কারখানা থেকে সরবরাহ পর্যায়ে এই ভ্যাট দেন। এই হার ১৫ শতাংশ করা হলে ভ্যাট রেয়াত নিতে পারবেন। ফ্রিজ ও এসির উপকরণ বা যন্ত্রাংশ সাধারণত প্রতিষ্ঠিত সরবরাহব্যবস্থা বা প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়।

সূত্রমতে, এ দুই খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে আরও বাড়িয়ে ভ্যাট হার করা হয়েছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন এই খাতগুলোতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বর্তমানে দেশে ওয়ালটন, ইলেক্ট্রোমার্ট, ট্রান্সকম, এসকোয়্যার, সিঙ্গার বাংলাদেশ, বাটারফ্লাই, র‍্যাংগ্স, ইলেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল, মিনিস্টার, ভিশন, এলজিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।

ফ্রিজ ও এসি খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বর্তমান এসির বাজারের দুই-তৃতীয়াংশই এখন দেশি ব্র্যান্ডগুলোর দখলে। শহর এলাকায় বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর চল থাকলেও মফস্‌সলের বাজার পুরোটাই এখন দেশি ব্র্যান্ডগুলোর দখলে। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সাশ্রয়ী মূল্য ও সহজলভ্যতা। বর্তমানে বছরে গড়ে ছয় থেকে সাত লাখ এসি বিক্রি হয়। দ্রুত এ খাতের চাহিদা বাড়ছে। অন্যদিকে ফ্রিজের বাজারেও ওয়ালটনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালী অবস্থান আছে। প্রতিবছর গড়ে ২০ থেকে ২৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়।