সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ১ জুন থেকে বাজারে তিনটি নতুন মূল্যমানের ব্যাংক নোট চালু করতে যাচ্ছে। নতুন এই সিরিজের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোটে দেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে।
পাশাপাশি, প্রতিটি নোটে যুক্ত করা হয়েছে উন্নতমানের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, যা জাল নোট শনাক্তে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত নতুন সিরিজের নোটগুলোতে থিম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে “বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য”। নোটগুলোর ডিজাইন ও ছাপায় আধুনিক প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংযোজন করা হয়েছে।
১০০০ টাকার নোটে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সংসদ ভবন
নতুন ১০০০ টাকার নোটে সামনে রয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং পেছনে জাতীয় সংসদ ভবনের চিত্র। বেগুনি রঙের এ নোটে রয়েছে বিশেষ ধরনের জলছাপ, রঙ পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা সুতা, ম্যাজেন্টা-থেকে-সবুজে পরিবর্তনশীল কালি, মাইক্রোপ্রিন্ট, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য চিহ্নসহ মোট ১৩টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য।
৫০ টাকায় আহসান মঞ্জিল ও শিল্পাচার্যের চিত্রকর্ম
গাঢ় বাদামী রঙের নতুন ৫০ টাকার নোটে সম্মুখভাগে রয়েছে ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিল এবং পেছনে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘সংগ্রাম’। এই নোটে রয়েছে ৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, যার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা সুতা, জলছাপ, ও মাইক্রোপ্রিন্ট।
২০ টাকার নোটেও ঐতিহ্য ও নিরাপত্তা
নতুন ২০ টাকার নোটেও রয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার চিত্র এবং উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক এই মূল্যমানের বিস্তারিত ডিজাইন প্রকাশ করেনি, তবে নোটটিও নতুন সিরিজের আওতায় ১ জুন থেকেই বাজারে আসবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন সিরিজের নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রাও সচল থাকবে। এছাড়া মুদ্রা সংগ্রাহকদের জন্য সীমিত সংখ্যক নমুনা নোট (specimen) ‘টাকা জাদুঘর’, মিরপুর থেকে সংগ্রহ করা যাবে নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, এই নতুন সিরিজের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা যাবে, অন্যদিকে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে জাল নোট প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখা যাবে।