সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের হয়ে, এ খবর শোনার পর থেকেই দেশের ফুটবলে বইতে শুরু করে অন্যরকম এক রোমাঞ্চ। তার পাশে মাঠে নামার অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ দলের অন্যরাও। তরুণ ফরোয়ার্ড আল আমিন তো বলেই ফেললেন, বল জালে জড়িয়ে হামজার কাঁধে ওঠে উদযাপন করতে চান তিনি।
দুই সপ্তাহের ক্যাম্প শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল।
সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বাংলাদেশে পা রাখেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার। তাকে নিয়ে রোমাঞ্চের যেনো কোনও অন্ত নেই। সিলেটের হবিগঞ্জে নিজের পৈতৃক বাড়িতে হামজাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে সাজ সাজ রব। দিনব্যাপী ছিলো নানা আনুষ্ঠানিকতা।
ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসেছেন হামজা চৌধুরী। অন্যদিকে সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের নিবিড় প্রস্তুতি শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন জামাল-তপুরা। এই ক্যাম্পের ফলে দলের মধ্যে ঐক্য ও বোঝাপড়া বেড়েছে বলে মনে করেন মিডফিল্ডার কাজেম শাহ কিরমানি।
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরার চিন্তায় এখন ঢাকায় ফেরার পরের করণীয়। তবে খুব ঢাকায় তিনি খুব বেশি সময় পাবেন না। কেননা বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) শিলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রায় দুই সপ্তাহ এখানকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন পরিবেশে টেনিং করেছি। এজন্য সৌদি ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ, বিশেষ করে ট্রেনিং গ্রাউন্ড, আবাসনের জন্য। ঢাকায় সপ্তাহখানেক প্রস্তুতির পর এখানে অনুশীলনের দ্বিতীয় ধাপ শেষ করেছি। এবার আমরা ঢাকায় ফিরব পরবর্তী ধাপের জন্য, যেটা আমাদের চূড়ান্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হবে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য।
সৌদি আরবের প্রস্তুতি নিয়ে কোচ থেকে শুরু খেলোয়ারা সবাই সন্তুষ্টির কথাই জানিয়েছেন। তবে কাজেম শাহ’র বিশ্বাস, এই ক্যাম্পের ফলে বোঝাপড়া বেড়েছে তাদের।
দলের জন্য এই ক্যাম্প খুব লাভ হয়েছে, আমি মনে করি, এটার ভীষণ প্রয়োজন ছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ এখানে ট্রেনিং করেছি, আমাদের মধ্যে ঐক্য, বনিবনা বেড়েছে। এখানে যে প্রস্তুতি নিয়েছি, আশা করি সেটা আমরা ভারতের মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে কিভাবে খেলব, তার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। তবে মূল বিষয় হচ্ছে, পরস্পরকে সহযোগিতা করা, ভারতে গিয়ে যেটাই সামনে আসুক, সেটার জন্যই প্রস্তুত থাকা।
ঘরোয়া ফুটবলে চলতি মৌসুমে ৭টি গোল করেছেন পুলিশ এফসির হয়ে খেলা আল আমিন। এবার জাতীয় দলের হয়েও আক্রমণভাগে আলো ছড়াতে চান তিনি।প্রথমবার যেহেতু দলে ডাক পেয়েছি, এখানে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় আছে, তাদের সাথে আমি যে মানিয়ে নিতে পেরেছি, এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। যদি আমার সুযোগ হয় সেরা একাদশে খেলার কিংবা যদি দলে থাকি, ইনশাল্লাহ আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব।
যেহেতু দেশের মানুষ আমাদের ওপর ভরসা রাখছে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। গোল করার ইচ্ছা আছে। যেভাবে হোক ভারতের বিপক্ষে জিততে হবে। যদি সুযোগ হয়, হামজা ভাইয়ের পাস থেকে আমি গোল করার চেষ্টা করবো এবং গোল করে হামজা ভাইয়ের কাঁধে উঠব।