, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাঁসের নতুন জাত ‘বাউ-ডাক’, ৩ গুণ ডিম-মাংস!

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩৭৮ Time View

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

দেশি হাঁসের তুলনায় অধিক মাংস এবং ৩ গুণ বেশি ডিম দেয়া নতুন এক হাঁসের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। নতুন এই জাতের নাম দেয়া হয়েছে ‘বাউ-ডাক’। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন খামারিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই হাঁস পালন।
হাঁসের নতুন জাত ‘বাউ-ডাক’।

দেশি হাঁসের চেহারায়, কিন্তু তিনগুণ বেশি ডিম আর বেশি মাংস। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের হাস ‘বাউ-ডাক’ এখন প্রান্তিক খামারিদের আশার আলো। দেখতে যেন দেশি হাঁসই, খাবার ও লালনপালন পদ্ধতিও একই। তবে পার্থক্য রয়েছে উৎপাদনে। প্রচলিত দেশি হাঁস যেখানে বছরে দেয় ৭০ থেকে ৮০টি ডিম, সেখানে বাউ-ডাক দেয় ২২০ থেকে ২৩০টি ডিম।

মাত্র ১০ থেকে ১২ সপ্তাহেই প্রতিটি হাঁসের ওজন দাঁড়ায় আড়াই থেকে তিন কেজিতে। দ্রুত বৃদ্ধি, কম মৃত্যুহার আর ভালো বাজারমূল্য সব মিলিয়ে লাভজনক হয়ে উঠেছে এই জাত। এটি লালন পালন করা যাচ্ছে পোল্ট্রি সেডেও।

দীর্ঘ গবেষণার ফল ‘বাউ-ডাক’। দেশি-বিদেশি হাঁসের সংকরায়ণের মাধ্যমে জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল আলম ভূঞা ও তার গবেষণা দল। উৎপাদনে লাভজনক, বাজারে চাহিদাসম্পন্ন ‘বাউ-ডাক’ হতে পারে দেশের হাঁস খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।

ড. সামছুল আলম ভূঞা জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় উপযোগী করে গড়া হয়েছে বাউ-ডাক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, উৎপাদনও ভালো। সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে খামারিরা যেমন লাভবান হবে, তেমনি পূরণ হবে পুষ্টির চাহিদাও। প্রান্তিক খামারিদের কাছে জাতটি পৌঁছাতে কাজ চলছে।

Popular Post

এবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাঁসের নতুন জাত ‘বাউ-ডাক’, ৩ গুণ ডিম-মাংস!

Update Time : ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

দেশি হাঁসের তুলনায় অধিক মাংস এবং ৩ গুণ বেশি ডিম দেয়া নতুন এক হাঁসের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। নতুন এই জাতের নাম দেয়া হয়েছে ‘বাউ-ডাক’। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন খামারিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই হাঁস পালন।
হাঁসের নতুন জাত ‘বাউ-ডাক’।

দেশি হাঁসের চেহারায়, কিন্তু তিনগুণ বেশি ডিম আর বেশি মাংস। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের হাস ‘বাউ-ডাক’ এখন প্রান্তিক খামারিদের আশার আলো। দেখতে যেন দেশি হাঁসই, খাবার ও লালনপালন পদ্ধতিও একই। তবে পার্থক্য রয়েছে উৎপাদনে। প্রচলিত দেশি হাঁস যেখানে বছরে দেয় ৭০ থেকে ৮০টি ডিম, সেখানে বাউ-ডাক দেয় ২২০ থেকে ২৩০টি ডিম।

মাত্র ১০ থেকে ১২ সপ্তাহেই প্রতিটি হাঁসের ওজন দাঁড়ায় আড়াই থেকে তিন কেজিতে। দ্রুত বৃদ্ধি, কম মৃত্যুহার আর ভালো বাজারমূল্য সব মিলিয়ে লাভজনক হয়ে উঠেছে এই জাত। এটি লালন পালন করা যাচ্ছে পোল্ট্রি সেডেও।

দীর্ঘ গবেষণার ফল ‘বাউ-ডাক’। দেশি-বিদেশি হাঁসের সংকরায়ণের মাধ্যমে জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল আলম ভূঞা ও তার গবেষণা দল। উৎপাদনে লাভজনক, বাজারে চাহিদাসম্পন্ন ‘বাউ-ডাক’ হতে পারে দেশের হাঁস খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।

ড. সামছুল আলম ভূঞা জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় উপযোগী করে গড়া হয়েছে বাউ-ডাক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, উৎপাদনও ভালো। সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে খামারিরা যেমন লাভবান হবে, তেমনি পূরণ হবে পুষ্টির চাহিদাও। প্রান্তিক খামারিদের কাছে জাতটি পৌঁছাতে কাজ চলছে।