ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করায় এর চাপ পড়বে দুই দেশের ওপরই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তে উভয় দেশের ফ্লাইট পরিচালনায় জ্বালানি ব্যয়, ট্রানজিট খরচ ও অপারেটিং খরচ বেড়ে যাবে।
গেল ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে টানাপেড়েন চলছে। ওই হামলায় পাকিস্তানের মদদের অভিযোগ আনে ভারত। আর তা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যেও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যেই ভারতের বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। এ পদক্ষেপের এক সপ্তাহের মাথায় পাকিস্তানের উড়োজাহাজের জন্যও একই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়ার কারণে শত শত ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে ভারতীয় এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পরিচালনায় জ্বালানি এবং ট্রানজিট খরচ উভয়ই বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে লম্বা পথের ফ্লাইটগুলোকে জ্বালানি নিতে মাঝপথে থামতে হবে, যা ফ্লাইট পরিচালনার খরচ আরও বাড়িয়ে দেবে।
এমনটা চলতে থাকলে, ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৭৭ কোটি রুপি বাড়তি খরচ করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস প্রতি তা ছাড়াতে পারে ৩০৭ কোটি রুপি। আর ফ্লাইট প্রতি অতিরিক্ত খরচ হতে পারে ১ হাজার ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ডলার। অবশ্য এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের নিজের হাতছাড়া হচ্ছে ওভারফ্লাইট ফি।
এদিকে মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় বিমান সংস্থা পিআইএ জানায়, দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা বাড়ায় তারা ভারতীয় আকাশসীমা এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা এই প্রথম বন্ধ হয়নি। এর আগে ১৯৯৯ সালে কারগিল সংঘাতের পর এবং ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের পদক্ষেপের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে একই সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।