, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্থানে বন্যায় ১১১ জনের মৃত্যু

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ৩৪ মিনিট আগে
  • ১৩৭০ Time View

পাকিস্তানে জুনের শেষ দিকে শুরু হওয়া চলমান মৌসুমি বৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় মৃতদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন শিশু রয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে দেশটির সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে সবেচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের প্রাণ গেছে।
দেশটিতে গত জুনের শেষ দিকে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এ সময় একটি নদীর তীরে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া অন্তত ১৩ জন পর্যটক বন্যার পানিতে ভেসে যান। পরে তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আরও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এর ফলে বন্যা, ভূমিধ্বস এবং বাতাসের কারণে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

পাকিস্তানে বৈরি আবহাওয়া কেবল মানুষের জীবনকেই প্রভাবিত করেনি; বরং এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। আকস্মিক বন্যা এবং ভারী বর্ষণের কারণে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা এবং নয়টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে ১৪৫টি বাড়ি এবং ৩১০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডন বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান অন্যতম। দেশটির ২৪ কোটি বাসিন্দা ক্রমবর্ধমান হারে চরম বৈরি আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে।

২০২২ সালে নজিরবিহীন এক বন্যায় পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ এলাকা ডুবে যায়। এতে দেশটির ১ হাজার ৭০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। দেশটির অনেক অঞ্চল এখননো সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

Popular Post

পাকিস্থানে বন্যায় ১১১ জনের মৃত্যু

Update Time : ৩৪ মিনিট আগে

পাকিস্তানে জুনের শেষ দিকে শুরু হওয়া চলমান মৌসুমি বৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় মৃতদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন শিশু রয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে দেশটির সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে সবেচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের প্রাণ গেছে।
দেশটিতে গত জুনের শেষ দিকে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এ সময় একটি নদীর তীরে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া অন্তত ১৩ জন পর্যটক বন্যার পানিতে ভেসে যান। পরে তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আরও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এর ফলে বন্যা, ভূমিধ্বস এবং বাতাসের কারণে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

পাকিস্তানে বৈরি আবহাওয়া কেবল মানুষের জীবনকেই প্রভাবিত করেনি; বরং এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। আকস্মিক বন্যা এবং ভারী বর্ষণের কারণে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা এবং নয়টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে ১৪৫টি বাড়ি এবং ৩১০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডন বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান অন্যতম। দেশটির ২৪ কোটি বাসিন্দা ক্রমবর্ধমান হারে চরম বৈরি আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে।

২০২২ সালে নজিরবিহীন এক বন্যায় পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ এলাকা ডুবে যায়। এতে দেশটির ১ হাজার ৭০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। দেশটির অনেক অঞ্চল এখননো সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।