অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনে শুধু বিরোধী নেতা পিটার ডাটনের হার নয়-হার হয়েছে এক ধরনের রাজনীতিরও। দেশটির গণমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো কট্টর রক্ষণশীলতা আর বিভাজনমূলক বার্তা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ডাটন। কিন্তু ভোটাররা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন-ট্রাম্পীয় রাজনীতি অস্ট্রেলিয়ায় চলবে না। নিজের আসন হারিয়ে এখন এই বার্তাই বুঝে নিতে হচ্ছে ডাটনকে।
অস্ট্রেলিয়ায় ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন অ্যান্থনি আলবানিজ। দেশটির নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, ১৫০ আসনের মধ্যে লিবারেল পার্টি অন্তত ৮৬টি আসন পেতে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রার ব্যয়, ট্রাম্প-ঘেঁষা কট্টর রাজনীতি এবং স্বাস্থ্যখাতে সঙ্কট সব মিলিয়ে ভোটারদের রায় গেছে স্থিতিশীলতার পক্ষে।
শনিবার (৩ মে) সিডনির লেবার পার্টির সদর দফতরে সমর্থকদের উল্লাসের মাঝে বিজয়ের ঘোষণা দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। জানিয়ে দেন, এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা আরও বেড়ে লেবার পার্টি ফের ক্ষমতায় আসছে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আলবানিজ হলেন গত দুই দশকে প্রথম অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি পরপর দুই মেয়াদে জয় পেলেন।
অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তার এই সময়ে, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা প্রত্যাশা ও সংকল্প বেছে নিয়েছে। ন্যায়ের প্রতি বিশ্বাস ও একে অপরের প্রতি আস্থা নিয়ে আমরা আবার অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে ফিরছি।’
অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে পিটার ডাটনের পরাজয়ে এরমধ্যেই, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর পেছনের কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর গবেষণা। শুধু প্রধানমন্ত্রীর গদি নয়, নিজের দীর্ঘদিনের আসন ডিকসনও খুইয়েছেন তিনি। বিপরীতে, অ্যান্থনি আলবানিজ চমক দেখিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরেছেন ক্ষমতায়।