সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
মানবিক করিডর নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জনগণ এখনও পায়নি-এ কথা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অথচ বর্তমান সরকার সকলকে অন্ধকারে রেখেছে। শুধু খাল উদ্ধারেই দেশের উন্নয়ন হবে না। এদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং দেশের স্বার্থ রক্ষায় প্রকৃত সরকার প্রয়োজন বলেও জানান।মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চ স্মরণে গণসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চ স্মরণে গণসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চ স্মরণে গণসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মেজর হাফিজ বলেন, আগামীর পানিবণ্টন চুক্তি যেন ন্যায্যতার ভিত্তিতে হয়, সেটা আগত সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। চীন-বাংলাদেশকে বাধ নির্মাণ প্রকল্পে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসতেই ভারত সরকারের টনক নড়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, মানবিক করিডর নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন এবং এ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জনগণ এখনও পায়নি। অথচ বর্তমান সরকার সকলকে অন্ধকারে রেখেছে। শুধু খাল উদ্ধারেই দেশের উন্নয়ন হবে না। এদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে আর দেশের স্বার্থ রক্ষায় প্রকৃত সরকার প্রয়োজন। একই অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত সরকার নিজেদের ভারতের কাছে সমর্পণ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা মানতে পারত না। এদিকে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আরেকটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘গত নয় মাসে উল্লেখ করার মতো কোনো সংস্কার দৃষ্টিগোচর হয়নি। সরকার মানবিক করিডর কার সাথে করছে, কার স্বার্থের জন্য করছে জানতে চায় সবাই?’ জাতীয় সংগীত গাইতে না দেয়ার ইস্যুতে সরকার নিশ্চুপ এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক কোনো দলের সাথে বৈঠক করেননি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মান্না বলেন, এনসিপি অন্য দলের সমালোচনা করতে করতে শেষ। তারা সরকারি না আধা সরকারি দল! একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এখন যারা বড় বড় কথা বলছেন, আন্দোলনের সময় তাদের চেহারা দেখা যায়নি। এখন গর্ত থেকে বেড়িয়ে এসে তারা সংস্কারের তালিম দিচ্ছে। দিনশেষে সংস্কারের কথা যতই হোক, তা হতে হবে জনগণের জন্য তাদের সমর্থনের মাধ্যমে। সব রাজনৈতিক দল সংস্কারের প্রস্তাব দিলেও এখনও কোনো সংস্কারই দৃশ্যমান নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে কী সংস্কার হবে এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এজন্য জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে ফিরে যেতে হবে। কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় সংস্কারের নাম নিয়ে ছলনা করার সুযোগ নেই। দেশের মানুষকে জিম্মি করে একটা গোষ্ঠীর স্বার্থ বাস্তবায়নে সংস্কার কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করার প্রক্রিয়া জনগণ মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন আমীর খসরু।