ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে সাবমেরিন কেবল ও ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) থেকে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এর মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ নেয় মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড সেবাদাতারা। ব্যান্ডউইডথ সঞ্চালনে ফাইবার সেবা দেয় নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটর। আর মোবাইল অপারেটরদের জন্য টাওয়ার বসায় টাওয়ার কোম্পানি।
মোবাইলে কথা বলায় অপারেটরের মধ্যে কল আদান-প্রদান হয় ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) এর মাধ্যমে। অন্যদিকে আইএসপির মধ্যে ডেটা ট্রাফিক আদান-প্রদান করে ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (নিক্স)।
টেলিকমখাতের এসব সেবার জন্য ২২ ধরনের লাইসেন্স রয়েছে; যাকে অপ্রয়োজনীয় বলছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় সংখ্যক লাইসেন্স দেয়া, অপ্রয়োজনীয় সেবা তৈরি করা, ভিওয়াইপিটাকে ইনস্টিটিউশনালাইজড করে ফেলা– এরকম হয়ে আসছে।
এ অবস্থায় ‘নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং রেজিম রিফর্ম পলিসি ২০২৫’ খসড়ায় ২২ থেকে লাইসেন্স তিনটি স্তরে নামিয়ে আনছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাদ দেয়া হচ্ছে আইজিডব্লিউ, আইআইজি, নিক্স ও আইসিএক্স লাইসেন্স। এসব লাইসেন্সের আওতায় থাকা সেবা দেয়ার সুযোগ দেয়া হতে পারে মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বা আইএসপিগুলো।