চলতি বছরের জুনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির বিষয়ে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমনটা জানিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান গণহত্যামূলক হামলা এবং দখলদারিত্ব সম্প্রসারণের মধ্যে গত মাসে সৌদি আরবের সাথে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে তার দেশ।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে আগামী জুনে নিউইয়র্কে একটি সম্মেলন হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে এ সম্মেলনের কো-চেয়ার হিসেবে থাকবে ফ্রান্স। সম্মেলনটি একটি সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
এখন পর্যন্ত ১৪৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই তালিকায় সম্প্রতি যোগ হয়েছে স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়ে ল্যামি বলেন, যুক্তরাজ্য এমন পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে যখন প্রতীকী না হয়ে বরং সবচেয়ে বেশি কার্যকর প্রভাব রাখবে।
ল্যামি আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্য যখন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে, তখন কেউ ভেটো দেয়ার থাকবে না।’ আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি, স্বীকৃতিই শেষ কথা নয়, দুই-রাষ্ট্র সমাধানই শেষ কথা। আমরা দুটি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতিকে অগ্রাধিকার দেব, তাই আমরা অংশীদারদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে থাকব।’
এই কূটনীতিক আরও বলেন, ‘ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও সৌদি কর্মকর্তারা এই বিষয়ে আরও কথা বলবেন এবং অবশ্যই আমরা এই মুহূর্তে তাদের সাথে আলোচনা করছি।’ ল্যামি গত সপ্তাহে কাতারের সাথে তার আলোচনায় অংশগ্রহণের কথাও উল্লেখ করেছেন। ওই বৈঠকে তিনি বেশ জোরের সাথেই বলেন, দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রক্রিয়া এবং সমাধানের জন্য হামাসকে গাজা শাসন করতে দেয়া হবে না এবং এর নেতৃত্বকে গাজা ছেড়ে যেতে হবে।