এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত। শুক্রবার (২ মে) চ্যানেলটি ব্লক করা হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে ভারতে পাক প্রধানমন্ত্রীর চ্যানেল দেখা যাবে না।
এরই ধারাবাহিকতায় পাক প্রধানমন্ত্রীর ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করা হলো। খবরে বলা হয়েছে, চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবাররা চ্যানেলে প্রবেশ করা মাত্র একটি বার্তা দেখতে পাচ্ছেন। বার্তাটি হলো ‘জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সরকারি আদেশের কারণে বর্তমানে এই দেশে কন্টেন্টটি ‘আনঅ্যাভেইলেবল’ তথা দেখা যাচ্ছে না।’
ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকেও পহেলগামে হামলা নিয়ে একটি প্রতিবেদনের জন্য সতর্ক করে ভারত সরকার।
সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বিবিসি পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে জঙ্গি শব্দটি না-লিখে ‘সশস্ত্র’ হামলা বলে উল্লেখ করে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের আপত্তির কথা জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বিবিসি-র ভারতীয় শাখার প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে।
কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীল বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করেছে ভারত। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে এই ইউটিউব চ্যানেলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
ডন, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রাফতার, জিও নিউজ ও সুনো নিউজের পাশাপাশি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের চ্যানেলও এই তালিকায় রয়েছে। পাকিস্তানি সাংবাদিকদের ইউটিউব চ্যানেলগুলোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যার মধ্যে ইর্শাদ ভাট্টি, আসমা শিরাজি, উমর চিমা ও মুনিব ফারুক অন্যতম।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামের কাছে বৈসারন উপত্যকায় ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন। এরপরই ভারত পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়।
নয়াদিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়, যার মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা অন্তর্ভুক্ত। নয়াদিল্লি আত্তারি সীমান্তে সমন্বিত চেক পয়েন্টও বন্ধ করে দেয়।